কলকাতা: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ছাড়া এক মুহূর্তও চলা দায়। প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। তা কোনও ছবির ক্ষেত্রেই হোক, বা কোনও তারকার নিজস্ব প্রচারই হোক। তারকা, প্রযোজনা সংস্থা তো বটেই, সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট শেয়ার করতে বেশ পছন্দ করেন। শুধু নিজেদের কাজই নয়, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের টুকরো মুহূর্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন তারকারা। আর সেসব দেখতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। টলিউড (Tollywood) থেকে বলিউড (Bollywood)... প্রায় প্রত্যেক তারকাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয়। আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে, যা নজর কাড়ল আলাদাভাবে। সে প্রচারই হোক বা নিছক আলসে মুহূর্ত.. টলিউড থেকে বলিউড, আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব, বিনোদন দুনিয়ার সোশ্যালের সেরা খবরগুলোকে।


'মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি', কেন বললেন রণজয়?


সম্প্রতি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কাশ্মীরে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন রণজয়। আর সেখানেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি। অভিনেতা জানান, 'শ্যুটিং থেকে তিনদিন ছুটি পেয়েছিলাম। চার বন্ধুর সঙ্গে আমি ট্রেকে গিয়েছিলাম। আরসান ভ্যালি ও ফাম্বার ভ্যালিতে ট্রেক করেছি। প্রথম দিন প্রায় ১২ কিমি, দ্বিতীয় দিন প্রায় ৮ থেকে ৯ কিমি'। রণজয় বিষ্ণু বলেন, 'ফেরার সময় সিনচন পয়েন্ট ছিল, যেখানে দু'দিকে ছিল লম্বা লম্বা পাহাড়। চারিদিকে বরফ। আর যে ট্রেকার হেড ছিল তাঁর নাম ইউনিস। ঘড়িতে তখন আড়াইটে বাজে। কোনও খাবার তো নেই। জলটুকুও না। তার মধ্যে একটা ভয়ানক শর্টকাট রাস্তা দিয়ে আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল'। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি, পাগল নাকি আমরা অভিনেতা, এনজয়ের জন্য ট্রেক করেছি। জীবন বাজি রাখার খেলা নয়। সরকার থেকে কোনওরকম পুরস্কারও চাই না। এরকম খতরো কা খিলাড়ি হওয়ার কী দরকার? পাহাড়ের রাস্তায় প্রায় ঝুলে ঝুলে যাচ্ছিলাম। নিচে গভীর খাদ। পুরো রাস্তাটা পাথরের। পাথরে পা স্লিপ করে যাচ্ছে। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম আমার এখানেই জীবন শেষ। কখনও উঁচুতে উঠছি, কখনও নিচুতে। আমি বার বার ব্ল্যাক আউট হয়ে যাই। ঠিক সেই সময়ই ত্রাতা হিসেবে হাজির যে আমাদের মালপত্র ঘোড়া করে নিয়ে এসেছিল। আরিফ তাঁর নাম। অনেক ছোট বয়সে। আমি ওর পা ধরে প্রণাম করি। কারণ আরিফ আমার কাছে ঈশ্বর সমান। আজকে বেঁচে আছি আরিফের জন্যই... এখনও চোখের সামনে ভাসছে সেই ভয়ানক দৃশ্য।'


 






'জওয়ান' দেখতে গিয়ে হতাশ কিং খান অনুরাগীরা? কেন?


প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি, শুরু হবে অ্যাটলি পরিচালিত শাহরুখ খান অভিনীত 'জওয়ান' ছবি। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটবে তা কোন দর্শক আর বুঝেছিলেন। ইন্টারমিশনের আগেই সেখানে দেখিয়ে দেওয়া হল ছবির দ্বিতীয় ভাগ। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই ঘটেছে, লন্ডনের এক প্রেক্ষাগৃহে। মেকআপ আর্টিস্ট সহর রশিদ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেদিন তিনি 'জওয়ান' দেখতে গেছেন সেদিনের প্রথম থেকেই ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তিনি। কিন্তু হল থেকে বেরিয়েই তাঁর প্রতিক্রিয়া, এমন অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে কখনও হয়নি। তাঁর কথায় জানা যায়, ছবির দ্বিতীয় ভাগ, অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্স থেকেই দেখানো শুরু হয়েছে ছবি। ফিল্মের প্রথম অংশ চালানোই হয়নি প্রেক্ষাগৃহের তরফে। সহরকে তাঁর ভিডিওয় বলতে শোনা যায়, যে গোটা ছবিটা নাকি ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে শেষ হয়ে গিয়েছে। দর্শক তখন অবাক যে সিনেমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ভিলেন দমন হয়ে যাওয়ার পর কেন ইন্টারমিশন? ঘটনা বুঝতে পেরে দর্শক তখন পৌঁছন প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষের কাছে। টিকিটের টাকা ফেরত দিতে বলেন তাঁরা। সহর ভিডিওটি পোস্ট করে লেখেন, 'ট্রোল হয়ে গেলাম! দয়া করে শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি দেখুন, বহু বছর পর প্রেক্ষাগৃহে এসআরকে-র সিনেমা দেখতে গেলাম আর কী হল সেখানে।' এরপর তিনি ওই প্রেক্ষাগৃহে অফিসিয়াল পেজ ট্যাগ করে লেখেন, 'তোমাদের শুধু টিকিটের দাম ফেরত দেওয়াই উচিত নয়, বরং গোটা বছরের টিকিটের দাম ফেরানো উচিত আমার স্বপ্নের অভিনেতার ছবি এভাবে নষ্ট করার জন্য। শাহরুখ খান, যদি আপনি দেখতেন যে আপনার অনুরাগীদের সঙ্গে কী হল!' ৯ সেপ্টেম্বর এই ভিডিও আপলোড করেন তিনি। ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই মজা করেছেন যেমন, তেমনই অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। একজন লেখেন, 'রিফান্ড পেলেও, ওঁরা তবুও এসআরকের ছবি নষ্ট করে দিল আপনার জন্য।'


 






আরও পড়ুন: Top Entertainment News Today: 'জওয়ান' ছবির নয়া রেকর্ড, অসুস্থ ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে বিদেশে সানি, বিনোদনের সারাদিন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial