কলকাতা: হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই ঢাকে পড়বে কাঠি, বেজে উঠবে আগমনীর সুর। তবে ছোটবেলার মতো পুজো মানেই দেদার হুল্লোড় আর একটানা ছুটি কি আর বড় হওয়ার পর পাওয়া যায়? পরীক্ষা শেষে সেই সব ছুটির দিনের কথাই মনে করে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন টলি অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। এবিপি লাইভকে দিলেন একান্ত সাক্ষাৎকার।


 


প্রশ্ন: এখন তো পুজো পরিক্রমায় বেশ ব্যস্ত থাকেন পুজোর সময়ে। ছোটবেলার পুজো মিস করেন?


সৌরসেনী মৈত্র: ছোটবেলায় মনে আছে ষান্মাসিক পরীক্ষা (Half Yearly exam) শেষ হওয়ার পরই পুজোর ছুটি পড়ে যেত। আর আমার বাড়ির উল্টো দিকেই দিদার বাড়ি। আমার কাছে ছুটি মানেই দৌড়ে দিদার বাড়ি চলে যাওয়া। সব ভাইবোনেরা মিলে একসঙ্গে সেখানেই হুল্লোড় হত।


 


প্রশ্ন: পুজোর সময়ের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলতে কী মনে পড়ে?


সৌরসেনী: পাড়ার দাদারা যখন ঠাকুর নিয়ে ফিরত তখন তো বেশ অনেকটা রাত হয়ে যেত। কিন্তু ঠাকুরের মুখে সবার আগে আমাদেরই দেখতে হবে এই জেদটাও ছিল। সেই জন্য ওই রাত্রিবেলা সকলকে লুকিয়ে, দাদুর হাত ধরেই মণ্ডপে পৌঁছে যেতাম ঠাকুর দেখতে। সেটার একটা আলাদাই মজা ছিল।


 


প্রশ্ন: পুজোয় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে ভালবাসতেন?


সৌরসেনী: পুজোয় আমরা প্রচণ্ড ঘুরতাম। মা-বাবার হাত ধরে প্রচুর ঠাকুর দেখেছি। একেকটা দিন স্থির করা থাকত যে আজ উত্তর কলকাতার সব ঠাকুর দেখব বা কাল সল্টলেক পুরো ঘুরব। কিন্তু কাজের চাপে সেই জিনিসটা এখন আর হয়ে ওঠে না।  


 


প্রশ্ন: পুজোর প্রায় মাসখানেক আগে থেকে তো উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে, কী সাজব, কী পরব, ছোটবেলায় ব্যাপারটা কেমন ছিল?


সৌরসেনী: ছুটির আগে পরীক্ষার শেষ দিন বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়ই ছিল কার ক'টা জামা হল সেটা হিসেব করা। রীতিমতো প্রতিযোগিতা হত জামার সংখ্যা নিয়ে। এক একটা বেলার জন্য নতুন জামা আর তার সঙ্গে মানানসই জুতো কেনা ছিল মাস্ট। তখন তো আর এত ফোনে ফোনে ছবি পাঠানোর সুযোগ ছিল না, কিন্তু আমার আবার সকলের জামার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, রং না জানলে চলত না। তাই প্রত্যেকে আমরা ডিটেলে জামার বর্ণনা দিতাম।


 


প্রশ্ন: এবারের পুজোয় আপনার কী প্ল্যান?


সৌরসেনী: (গলায় আক্ষেপ) এবারের পুজো হয়তো কাজের জন্য কলকাতার বদলে মুম্বইয়ে কাটাতে হবে। তবে চেষ্টা করছি ফাঁক পেলে অন্তত এক বা দু'দিনের জন্য হলেও আসব।