নয়াদিল্লি: প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অডিট রিপোর্টের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, গত পাঁচ বছরে তাঁর ৭০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এর অর্থ সুশান্তের অ্যাকাউন্টে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা আসে এবং সেই টাকা থেকে খরচও হয়। মুম্বই পুলিশ সুশান্তর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফরেনসিক অডিট করিয়েছিল। এখন সেই অডিট রিপোর্ট পুলিশ সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে দিয়েছে। এখন সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্র্যান্ট থর্ন্টন নামের কোম্পানির অডিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুশান্তর অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়া চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে কোন ইলেকট্রনিক লেনদেন হয়নি।

অডিট রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, অত্যন্ত বিলাসেই সুশান্ত তাঁর জীবন কাটাতেন। নিজের জন্য তো বটেই, বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও কর্মীদের জন্যও দুহাতে খরচ করতেন। সুশান্ত তাঁর আয়ের ৭০ কোটি টাকার একটা অংশ মুম্বইতে একটি ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি ও বাইকে খরচ করেন। সেইসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাঙ্কে ৫-৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও কয়েক কোটি টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করেন।

সুশান্ত ট্যাক্স হিসেবে দিয়েছেন পাঁচ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে কয়েক কোটি টাকা নিজের ম্যানেজমেন্ট অর্থাত্ ম্যানেজার, কর্মী, ঘোরাফেরা ও বাড়ির খরচের জন্য ব্যবহার করেছেন। বাড়ির ভাড়া হিসেবেই খরচ করেছেন ৩-৪ কোটি টাকা।  ইডি আপাতত খোঁজখবর করে দেখছে যে, রিয়া ও তাঁর পরিবারের জন্য সুশান্ত কত টাকা খরচ করেছেন।

ইডি-র সন্দেহে, সুশান্ত বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ রিয়া ও তাঁর পরিবারের জন্য ব্যয় করেছেন। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সুশান্তর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের জন্য খরচ হয়েছে। ইউরোপ ভ্রমণ, কেনাকাটা, স্পা, হোটেল ও টিকিট বুকিংয়ের জন্য এই খরচ হয়েছে।

সুশান্ত বেশ দিলদরিয়া মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁর কর্মী, বন্ধুবান্ধব ও বাড়ির জন্যও অর্থ খরচ করতেন। এছাড়াও তিনি একটা মোটা অঙ্কের অর্থ কিছু প্রোডাকশন হাউস, এজেন্সি ও কিছু কোম্পানিকে দিয়েছিলেন। এই অর্থ সুশান্ত কী জন্য দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইডি জানার চেষ্টা করছে যে, এই এজেন্সি ও কোম্পানিগুলির সঙ্গে রিয়ার কোনও যোগ রয়েছে কিনা।  সুশান্ত বড় অঙ্কের অর্থ এন্টিটি পেমেন্ট করেছেন। সেইসঙ্গে কেরলের বন্যায় আর্থিক সাহায্য ও দুঃস্থদের সাহায্যের মতো অন্যান্য কাজেও দানধ্যান করেছেন।