মুম্বই: লকডাউন রাতারাতি অনিশ্চিত করে দিয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন। জীবিকা, মাথার ছাদ, শেষ সম্বল...সবটুকু হারিয়ে, একপ্রকার জীবনকে বাজি রেখেই পথে নেমেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।


এমনই অসংখ্য মানুষের মধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছিল ১৫ বছরের এক কিশোরী। অসুস্থ বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে গুরগাঁও থেকে বিহার পর্যন্ত দীর্ঘ ১২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিলেন সেই মেয়ে। সেই ঘটনা পরিযায়ী শ্রমিকদের নানা খবরের মধ্যেই আলাদা করে মন কেড়ে নেয় সকলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যান বিহারের শিরহুলি গ্রামের জ্যোতি কুমারী। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।




জ্যোতির কথা মন কেড়ে নিয়েছে পরিচালক ফারহা খানেরও। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ফারহা নাকি জ্যোতির অ্যাকাউন্টেই সরাসরি অর্থ সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। জ্যোতির পড়াশুনায় যাতে কোনও বাধা না আসে, তার জন্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফারহা। শুধু এই বছরই নয়, প্রতিবছরই জ্যোতির পড়াশুনার দায়িত্ব নেবেন ফারহা।

কীভাবে জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ হল ফারহার? ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, অনেক কষ্ট করেই জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তারপর এক এনজিও-র সাহায্যে তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারেন শেষমেষ।

কয়েক সপ্তাহ আগে, ফারহা নিজের মেয়ের আঁকা নিলাম করে করোনা-যোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য অর্থ জোগাড় করেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ফারহা জানান, মেয়ের আঁকা নিলাম করে তিনি ৫ লক্ষাধিক টাকা জোগাড় করেছেন।