নয়াদিল্লি: ক্রিকেট কেরিয়ারে বারেবারেই বিতর্কে জড়িয়েছেন শ্রীসন্থ। আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে ভূমিকার অভিযোগের জন্য আজীবন নির্বাসিত (পরে তা কমে হয় সাত বছর) হওয়ার আগে মাঠে ও মাঠের বাইরে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এরমধ্যে আইপিএলে ‘থাপ্পড় কাণ্ড’ও ছিল। এবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেসার। আইপিএলের প্রথম মরশুমে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে ম্যাচে এই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ম্যাচের শেষে হরভজন সিংহর সঙ্গে শ্রীসন্থের ঝামেলা বাঁধে। শেষপর্যন্ত ভাজ্জি থাপ্পড় মারেন শ্রীসন্থকে।
ফেসবুকে ক্রিকেট অ্যাডিক্টরের সঙ্গে ফেসবুকে কথা বলতে গিয়ে শ্রীসন্থ ওই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘টেলিভিশন শো বিগ বসেও আমি এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলাম। ব্যাট বা বোলিং- যে কোনও সময়েই আমি খুবই আবেগপ্রবণ। আমার কাছে অস্ট্রেলিয়াই হোক, বা অন্য কোনও দল, তাতে কোনও ফারাক হয় না। নিজের সেরাটা দিতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিপক্ষে কে রয়েছে, তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওই ঘটনা ঘটেছিল আইপিএলের প্রথম বছরে। তা ছিল চতুর্থ বা পঞ্চম ম্যাচ।ভাজ্জি ইরফান পাঠানের প্রথম বলেই আউট হয়ে যায়। আমি তখন মজা করেই বলেছিলাম, পঞ্জাব মুম্বইকে হারাবে। এ রকম ছেলেমানুষি আমি করতাম। আর হয়ত হরভজন অন্যরকম ছিল।
শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর দুজনের ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে এসেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। আর ওই রাতেই ঝামেলা মিটে গিয়েছিল।
শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, সচিন বলেছিলেন, তোমরা দুজনেই এক দলে খেল। আমি বলেছিলাম, ঠিকই আছে, আমি গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করব। এরপর আমরা ওই রাতে একসঙ্গে ডিনারও করি। কিন্তু মিডিয়া বিষয়টিকে অন্য পর্যায়ে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।
শ্রীসন্থ বলেছিলেন, হরভজনকে যাতে নির্বাসনের সাজা না দেওয়া হয়, সেজন্য তিনি বিচারকের কাছে কার্যত কাকুতি-মিনতি করেছিলেন। এখন ভাজ্জির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই বন্ধুন্তপূর্ণ বলে জানিয়েছেন শ্রীসন্থ।
তিনি বলেছেন, স্ল্যাপ-গেট কাণ্ডের তদন্তে নিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুধীর নানাবতীর কাছে রীতমতো কান্নাকাটি করে হরভজনকে যাতে কোনও শাস্তি না দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন।
শ্রীসন্থ বলেছেন, ভাজ্জি নির্বাসিত হোক, এমনটা একেবারেই চাইনি। কারণ, ভাজ্জি ম্যাচ উইনার।
শ্রীসন্থ বলেছেন, ভাজ্জির সঙ্গে এখন সবকিছু ঠিকঠাক। ও অনেক বদলে গিয়েছে। প্রকাশ্যেও ও বলেছে, শ্রী যেখানেই থাকো বন্ধু, ক্ষমা করে দাও। ও আমার দাদার মতো। ওই ঘটনার সময় ও হয়ত অন্য ধরনের ছিল। কিন্তু ও একজন বড়মাপের ক্রিকেটার।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পরও ভারতীয় দল একসঙ্গে খেলেছেন ভাজ্জি ও শ্রীসন্থ। ২০১১-তে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তাঁরা।