মুম্বই: চোখের জলে শ্রীদেবীকে চিরবিদায় জানালেন অনুরাগীরা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এদিন শেষশ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত অভিনেত্রীকে। মন ভার শ্রীদেবীর ভক্তকুলের। মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য। বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টারকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য টিনসেল টাউনের রাস্তায় জনসমুদ্র।


https://twitter.com/ANI/status/968807866273472512

শ্রীদেবীর শেষযাত্রার জন্য বুধবারে স্তব্ধ বাণিজ্য নগরী। রাস্তায় দেখা য়ায় হাজার হাজার মানুষ, শয়ে শয়ে গাড়ি। সবার পথই যেন গিয়ে মিশেছে আরবসাগরের তীরে ভিলে পার্লে শ্মশানে! সবার প্রিয় ‘চাঁদনি’-কে চিরবিদায় জানাতে।






 

Mumbai: Mortal remains of #Sridevi to be cremated with state honours. pic.twitter.com/OC64HUt2rv

— ANI (@ANI) February 28, 2018




পূর্ব পরিকল্পনা মতো বুধবার সকালে লোখণ্ডওয়ালা কমপ্লেক্সে সেলিব্রেশন স্পোর্টস ক্লাবে নিয়ে আসা হয় অভিনেত্রীর মরদেহ। কাচের কফিনে শায়িত ছিলেন শ্রীদেবী। পরণে প্রিয় লাল কাঞ্জিভরম শাড়ি।











একে একে উপস্থিত হন বলিউড তারকারা। কে নেই সেই তালিকায়। আসেন রেখা, জয়া বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত, ঐশ্বর্য রাই, তব্বু, সুভাষ ঘাই, জ্যাকি শ্রফ, দীপ্তি নাভাল, রাজেশ রোশন, অজয় দেবগণ, কাজল, দীপিকা পাড়ুকোন, ইমতিয়াজ আলি, চিরঞ্জিবী, ভেঙ্কটেশ-সহ আরও অনেকে।




দুপুর ২টো নাগাদ কাচের কফিনে শায়িত শ্রীদেবীকে নিয়ে রওনা হয় শববাহী শকট। সাদা রং ছিল ভীষণ প্রিয়। তাই গাড়িও সাজানো হয় সাদা ফুল দিয়ে। সঙ্গে শ্রীদেবীর বিশালাকার ছবি। মুখে বহু চেনা সেই হাসি!






দুপুর ২টো ৫৫ মিনিট নাগাদ গানস্যালুটের মাধ্যমে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শুরু শেষযাত্রা। লোখণ্ডওয়ালা কমপ্লেক্সে সেলিব্রেশন স্পোর্টস ক্লাব থেকে ভিলে পার্লে সেবা সমাজ শ্মশানের দিকে রওনা দিল শববাহী গাড়ি। বিকেল ৩টে ৫৩ মিনিটে ভিলে পার্লে শ্মশানে পৌঁছয় প্রয়াত অভিনেত্রীর গাড়ি। রাস্তায় তখন থিকথিকে ভিড়।







পরিস্থিতি সামাল দিতে মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয় পুলিশকে। একে একে ভিলে পার্লে শ্মশানে পৌঁছন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অনুপম খের, অনিল অম্বানি, সঞ্জয় দত্ত, মহেশ ভূপতি, প্রসূন জোশী, বিদ্যা বালন, ফারহান আখতার-সহ আরও অনেকে। বিকেল ৫টা ২৫ নাগাদ স্ত্রী-র মুখাগ্নি করেন স্বামী বনি কপূর। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেল শ্রীদেবীর নশ্বর শরীর। চলে গেলেন চাঁদনি। রয়ে গেলেন অসংখ্য ভক্তের স্মৃতিতে। বনি কপূরের পাশে দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি ছাড়াও ছিলেন অর্জুন কপূর।