মুম্বই: গঙ্গায় ভেসে বেড়াচ্ছে লাশ। পচা-গলা শরীর ফুলে উঠেছে জলে ভিজে! করোনা পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত অমানবিকতার ছবি দেখছে গোটা দেশ। বিহারের বক্সার থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ। ভয়াবহ সেই ছবি দেখে শিউড়ে উঠছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন ফারহান আখতার ও পরিণীতি চোপড়া।


আজ সকালে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ফারহান আখতার লেখেন, 'গঙ্গায় ভেসে আসা মৃতদেহ ও গঙ্গার ঘাটে পড়ে থাকা দেহের ছবিগুলো দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। আমরা হয়ত একদিন এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হব, কিন্তু এই ছবি প্রশাসনের অবস্থার জন্যই আমাদের দেখতে হচ্ছে। এর দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে। অতিমারি পরিস্থিতি এখনও শেষ হয়নি।'


পরিণীতি চোপড়া ট্যুইটারে লেখেন, 'করোনা পরিস্থিতি আমাদের মানবিকতার সবচেয়ে খাবার ছবিগুলো দেখিয়ে দিল। গঙ্গার জলে যে মৃতদেহগুলি ভাসছে তাঁরাও একদিন বেঁচে ছিলেন। তাঁরাও কারোও মা, কারও মেয়ে, কারও বাবা বা কারও ছেলে। আপনার কেমন লাগবে যদি আপনি নিজের মায়ের দেহকে গঙ্গার ধারে ভাসতে দেখেন! ভাবতে পারছি না। অমানবিক।'


বিহার-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে অবস্থিত চৌসা জেলা। সেখানকার গঙ্গাতেই দেখা গিয়েছে এই ভয়াবহ দৃশ্য। এ প্রসঙ্গে চৌসার জেলা আধিকারিক অশোক কুমার জানিয়েছেন, 'প্রায় ৪০-৪৫টি দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে মহাদেব ঘাটে।' তিনি আরও বলেন, 'ইচ্ছাকৃতভাবেই লাশগুলি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই অনুমান। সব মিলিয়ে লাশের সংখ্যাটা প্রায় ১০০টির কাছে হতে পারে'। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, এই দেহগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকেই ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহাদেব ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে সৎকারের কাজও শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।


 


অন্যদিকে আজই পান্না জেলার রুঞ্জ নদীতে ৬টির বেশি মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। করোনায় মৃত্যুর পর দেহ সৎকার না করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার নন্দনপুর গ্রামে উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া। ফলে সেখান থেকে দেহগুলি ভেসে এসেছে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ৩-৪ দিন নদীতে মৃতদেহ ভাসলেও প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।