নয়াদিল্লি: ঝামেলায় জড়াল ফারহান আখতার (Farhan Akhtar) ও রিতেশ সিধওয়ানির (Ritesh Sidhwani) এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট (Excel Entertainment)। 'ফিল্ম স্টুডিওজ সেটিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মজদুর ইউনিয়ন' (Film Studios Setting & Allied Mazdoor Union) সর্বসমক্ষে এই প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে আনল অভিযোগ। বেতন না দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল ফারহান আখতারের সংস্থার বিরুদ্ধে।


আইনি জটে ফারহান আখতারের সংস্থা


এফএসএসএএমইউ অভিযোগ আনল 'এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট'-এর বিরুদ্ধে। 'মির্জাপুর ৩'-এর প্রোডাকশন ডিজাইনের টিমে কাজ করেছিলেন এমন প্রায় ৩০০ দিন মজুরকে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে।


ইউনিয়নের দাবি, এই সংস্থা প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বাকি রেখেছেন। ২০২২ সালের মে মাস থেকে কর্মীদের টাকা দিচ্ছে না তারা, অভিযোগ এমনটাই। বিখ্যাত এই ওয়েব সিরিজের সেটে প্রত্যেকদিন কাজ করা সত্ত্বেও একাধিক কর্মী টাকা পাচ্ছেন না বলে দাবি তাদের। তবে প্রযোজনা সংস্থার তরফে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 


FSSAMU এই ব্যাপারে মিডিয়ার জন্য একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিঠিতে বলা হয়েছে যে শ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে যা শ্রম আইন অনুসারে অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে যাবে। 


এছাড়াও ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কর্মীদের ভাল মানের খাবার বা বসার জায়গা কিছুই দেওয়া হয়নি। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, এই অভিযোগের কথা জানিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই এক্সেল এন্টারটেনমেন্টকে তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মে মাস থেকে 'মির্জাপুর ৩' সেটে ৩০০ মজুরি শ্রমিক কাজ করছেন এবং তিন মাসের বেশি সময় হয়ে গেলেও কোনও বেতন পাননি। অভিযোগ, সংস্থার তরফে চিঠির কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। তবে মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হয় ও আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বাকি বেতন মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Brahmastra Part 2: রণবীর-আলিয়া ছাড়াও 'ব্রহ্মাস্ত্র টু'তে দেখা মিলবে বলিউডের এই তারকা দম্পতির


অন্যদিকে 'এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট'-এর তরফে বলা হয়েছে যে, 'ইউনিয়নের পক্ষ থেকে উত্থাপিত এমন অভিযোগের বিষয়ে এই প্রথম আমাদের সচেতন করা হচ্ছে। তবে বলে রাখি যে FSSAMU-র তরফে কোনও চিঠি, ই-মেল বা ফোন কল পাইনি। এক্সেলের বর্তমানে সাত থেকে আটটি প্রজেক্ট রয়েছে এবং এইগুলির কোনওটিতেই বেতন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। বিগত ২২ বছর ধরে আমরা ব্যবসায় আছি, আমরা কখনও এমন অভিযোগ পাইনি।'