লকডাউন আর করোনার পর পরিচালক-প্রযোজকেরা ভেবেছিলেন, দর্শক হয়তো আর হলমুখী হবেন না। কিন্তু সেই ধারণাকে মিথ্যে করে দিয়েছেন বড়পর্দাপ্রেমী দর্শক। হলিউড থেকে শুরু করে বলিউড, তামিল এমনকি বাংলা ছবি দেখার জন্যও বারে বারে হলমুখী হয়েছেন দর্শকেরা। পরিচালক-প্রযোজকেরও অবশ্য হতাশ করেননি দর্শকদের। একের পর এক ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এই সপ্তাহে টলিউড আর বলিউড মিলিয়ে মুক্তি পাচ্ছে চারটি ছবি।
কুলের আচার
১৫ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে, কুলের আচার। ছবির মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন, মধুমিতা সরকার, ইন্দ্রাণী হালদার, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও নীল সুজন মুখোপাধ্যায়। ছবির পরিচালনা করছেন সুদীপ দাস। দীর্ঘদিন পরে এই ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় ফিরছেন ইন্দ্রাণী হালদার। অন্যদিকে এই ছবির সৌজন্য়েই বড়পর্দায় প্রথম জুটি বাঁধছেন মধুমিতা ও বিক্রম। ছবির প্রেক্ষাপট যেন আমাদের রোজকার জীবনেই এক টুকরো অংশ। বিয়ের পর মেয়েদের পদবী পরিবর্তন হয়ে আসার প্রথা দীর্ঘদিনের। কিন্তু বর্তমানে অনেক মহিলাই বিয়ের পরে পরিবর্তন করেন না। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তে যদি তাঁর শশ্বুরবাড়ির পরিবারের আপত্তি থাকে তো? সেই গল্প নিয়েই তৈরি ছবি 'কুলের আচার'। পদবি যে কেবল পদবী নয়, তা বহন করে আত্মবিশ্বাস আর নিজেকে ভালোবাসার কথা, সেই গল্পই বলবে কুলের আচার।
হিট: দ্য ফার্স কেস
১৫ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে রাজকুমার রাও- সানায়া মলহোত্র অভিনীত 'হিট: দ্য ফার্স্ট কেস'। ডক্টর শৈলেশ কোলানু পরিচালিত এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন ভূষণ কুমার, দিল রাজু, কৃষণ কুমার, কুলদীপ রাঠৌর। সাসপেন্স থ্রিলার ঘরানার এই ছবির প্রচার করতে সদ্য কলকাতায় এসেছিলেন রাজকুমার রাও। এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন পুলিশ অফিসার আর এক অপহরণের গল্পকে ঘিরে। রাজকুমার রাও অভিনয় করেছেন একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়। তদন্তের খুঁটিনাটি, আশা-নিরাশা এবং পুলিশ অফিসারের ব্যক্তিগত জীবন সবকিছুরই ঝলক উঠে আসবে এই ছবিতে ৷ গল্পে রাজকুমারের প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যাবে সানায়া মালহোত্রাকে ৷ সব মিলিয়ে গল্পের মূল উপাদান হিসেবে টানটান রহস্য থাকলেও রয়েছে প্রেমের মাল-মশলাও ৷ আদতে একই নামের একটি তেলুগু ছবির রিমেক 'হিট-দ্য ফার্স্ট কেস' (HIT The first case) ৷
আরও পড়ুন: Top Entertainment News Today: টলিউড থেকে বলিউড, বিনোদনের সেরা খবরগুলি একঝলকে
অনন্ত
অন্যদিকে এই একই তারিখে মুক্তি পাচ্ছে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) ও সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) অভিনীত ছবি অনন্ত। টলিপাড়ার নতুন প্রজন্মের পরিচালক অভিনন্দন দত্ত পরিচালিত এই ছবি ভালোবাসার গল্প বলবে। ছবির কাহিনিরেখা তুলে ধরতে পাঁচটি শব্দের উপরে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন পরিচালক। সেই শব্দগুলি হল, মন, মুহূর্ত, মুদ্রা, কথা আর চরিত্র। পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর ছবিতে সিঁড়ির এক বিশেষ বাঁক আর সেখানে এসে পড়া আলোর এক বিশেষ ভূমিকা থাকবে। এক সিঁড়িতেই রোজ এক নির্দিষ্ট মুহূর্তে দেখা হয় ছবির দুই চরিত্র মিষ্টু আর শুভর। শুভ পৌঁছেছে চল্লিশের ঘরে, তার জীবনে বিশেষ কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর অবশিষ্ট নেই। অন্য দিকে, মিষ্টু এক স্কুলশিক্ষিকা। সিঁড়ির এই বাঁকে তারা দেখা করে, কথা বলে। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে একটু একটু করে বোঝাপড়ার মুহূর্ত তৈরি হয়, দরজায় এসে কড়া নাড়ে ভালোবাসা। যদিও মিষ্টু একদিন বিয়ে করে চলে যায়.. তারপর? অপূর্ণ প্রেমের এক গল্পকেই অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন ঋত্বিক-সোহিনী।
শাবাশ মিঠু
এই তালিকার একটি ছবির নাম বোধহয় না করলেই নয়, সেটি হল 'শাবাশ মিঠু' (Shabash Mithu)। ভারতীয় ক্রিকেটার মিতালি রাজের জীবনকে পর্দায় তুলে ধরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু। এটি সৃজিতের পূর্ণাঙ্গ বলিউড ছবির কাজের মধ্যে অন্যতম। এর আগে শেরদিল ছবি পরিচালনা করেছেন সৃজিত। সেই ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা গিয়েছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে। শ্যুটিং চলাকালীন একাধিক ছবি শেয়ার করেছিবলেন সৃজিত। রাজস্থানের মেয়ে মিতালি রাজের ২২ গজের গল্পকেই ফ্রেমবন্দি করেছেন সৃজিত। সদ্য ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে 'শাবাশ মিঠু'-র প্রচারও সেরেছেন সৃজিত-তাপসী ও মিতালি স্বয়ং। এবার অপেক্ষা কেবল বড়পর্দায় ময়দানের লড়াই দেখার।