মুম্বই: তাঁর নাম আর বিতর্ক যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাঁর একাধিক কথায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে, আবার প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফের আরেক বিতর্কে জড়ালেন তিনি। তবে কেবল বিতর্ক নয়, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআরও। কেন? অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনকে খলিস্তানি বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।


এই বছর গুরু নানকের জন্মদিনে বিরাট ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। যেখানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিনয়ের সুরে ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহার করলেন তিন কৃষি আইন, সেখানে, পদ্মশ্রীপ্রাপ্তা কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন ঝাঁঝালো আক্রমণ করতে। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন কেউ কেউ, কেউ আবার বলছেন ভোটের কথা মাথায় রেখে চাপের মুখে পদক্ষেপ ! সেখানে কঙ্গনা প্রতিবাদী কৃষকদের জিহাদি বলে আক্রমণ করলেন। 

কঙ্গনার রানাউতের মন্তব্য, “খুবই দুঃখজনক বিষয়। লজ্জাজনক এবংঅসমীচীন ঘটনা। সরকারের করা নিয়ম অমান্য করে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন তৈরি করতে শুরু করে, তাহলে তারা তো জিহাদির সমান। অভিনন্দন সেইসব লোকেদের, যাঁরা এটা চাইছিলেন।” কঙ্গনার এই ঝাঁঝালো আক্রমণে ফের সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মতামত ভাগ করে নেন তিনি। আজ ইন্দরা গাঁধীর ১০৪ তম জন্মদিন। তাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে কঙ্গনা আরেকটি স্টোরি পাবলিশ করেব। সেখানে তিনি ইন্দরা-স্মরণ করেই আবার প্রতিবাদীদের কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা আরও বলেন, “যখন দেশের মানুষের চেতনা যখন চলে যায়, তখন লাঠি দিয়েই একমাত্র ঠান্ডা করা সম্ভব। না হলে এদের আটকাতে দরকার স্বৈরতন্ত্র” । 


এখানেই শেষ নয়, কৃষক আন্দোলনকে 'খলিস্তানি আন্দোলন'-এর সঙ্গে তুলনা করে কটাক্ষও করেন কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনরত কৃষকদের 'খলিস্তানি' বলেও কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী। মুম্বইয়ে শিখ সম্প্রদায়ের অমরজিৎ সান্ধু নামের এক ব্যক্তি কঙ্গনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন কঙ্গনা।