কলকাতা: বক্স অফিসের অঙ্কে, সাফল্য ভূতেদের সঙ্গে। ভূত মানেই ভয়, সেসব ভূতপূর্ব ঘটনা। সিনেমায় বাজিমাত করতে ভূত আর কমেডির ভূমিকা মোটেই ছোট না। ভুল ভুলাইয়া থ্রি থেকে মুঞ্জেয়া, হরর কমেডিতেই এখন মজে রয়েছেন দর্শকেরা।
ভূতেদের ভয় দেখানোর অধিকার জন্মসিদ্ধ। কিন্তু তাঁদের কমেডিতে জুড়ে দেওয়া কি নীতিবিরুদ্ধ? একেবারেই নয়। বক্স অফিসের ধারাবাহিক অঙ্ক ভূতেই রাখছে ভরসা। কিংবা বলা যায়, সিনেমায় ভর করেছে ভূতে। তবে দিনকাল যা পড়েছে, তাতে ভূতেও এখন ভেজাল। খাঁটি ভূতের খোঁজে বিনোদন মাটি না করে কমেডিতেও থাকুন মজে। এই মন্ত্রেই ভুল ভুলাইয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি হাজির বড় পর্দায়। রুহ বাবা আর মঞ্জুলিকার কেমিস্ট্রিতে এবার মিস্ট্রি দ্বিগুন। কারণ, এক মঞ্জুলিকায় রক্ষে নেই, সেখানে মুখোমুখি দুই মঞ্জুলিকা। কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে বিদ্যা বালন আর মাধুরী দীক্ষিত।
হরর কমেডির উর্ধমুখী জনপ্রিয়তা আরও একবার প্রমাণ করল ভুল ভুলাইয়া থ্রি। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ছবি মুক্তির পর প্রথম দিনেই প্রায় ৩৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে।দ্বিতীয় দিনে ব্যবসা করেছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। আর তৃতীয় দিনে ৩৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ৩ দিনে ভুল ভুলাইয়া থ্রি-র মোট আয় প্রায় ১০৬ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, নেটফ্লিক্সে বিপুল অঙ্কের টাকায় ছবিটির ওটিটি রাইটস বিক্রি হয়েছে।
ভুল ভুলাইয়া থ্রি-র আগে ভুল ভুলাইয়া এবং ভুল ভুলাইয়া টু, দুটি ছবিই ব্যবসার অঙ্কে চোখ ধাঁধানো সাফল্য পেয়েছিল। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমার, বিদ্যা বালন এবং সাইনি আহুজা অভিনীত ভুল ভুলাইয়া তৈরি হয়েছিল ৩২ কোটি টাকা বাজেটে। বক্স অফিসে ছবিটি আয় করেছিল প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। এরপর ২০২২-এ ছবিটির সিক্যুয়েল ভুল ভুলাইয়া টু মুক্তি পায়। এই ছবিতেই রুহ বাবার
চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন কার্তিক আরিয়ান। প্রায় ৭০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ভুল ভুলাইয়া টু শুধু মাত্র ভারতীয় বক্স অফিসেই ২২১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বক্স অফিসে আক্ষরিক অর্থেই ম্যাজিক দেখিয়েছে হরর কমেডি ঘরানার ছবি। মুঞ্জেয়া, স্ত্রী পার্ট টু অভাবনীয় ব্যবসা করেছে। প্রায় ১২০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি হয়েছে 'স্ত্রী পার্ট টু' ছবিটি। শুধু মাত্র ভারতীয় বক্স অফিসেই ছবিটি প্রায় ৭১৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ভারতের বাইরে ছবিটি ব্যবসা করেছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার। পৃথিবী জুড়ে ব্যবসার অঙ্কে ছবিটির মোট আয় প্রায় ৮৫৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। এর আগে ২০১৮-য় স্ত্রী পার্ট ওয়ানও দুরন্ত ব্যবসা করেছিল। প্রায় ২৫ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছিল প্রায় প্রায় ১৮১ কোটি টাকা।
হরর কমেডি ঘরানার যে ছবিটির উল্লেখ এখানে না করলেই নয়, সেটি মুঞ্জেয়া। মুঞ্জেয়ার প্রযোজকরাও কল্পনা করতে পারেননি, রিলিজের পর শুধু মাত্র দর্শকের মুখে মুখে প্রচারে ছবিটি এমন সাফল্য পাবে। ভূতের ভয়, নাকি ভূত দেখলে মজাও হয়? এই প্রশ্নের সামনে দর্শকদের দাঁড় করিয়েই বাজিমাত করেছেন মুঞ্জেয়ার পরিচালক আদিত্য সরপোতদার। ছবিটি বানানো হয়েছে ৩০ কোটি টাকা বাজেটে। 'মুঞ্জেয়া' প্রথম ভারতীয় ছবি যেখানে শুধুমাত্র সিজিআই প্রযুক্তি নির্ভর চরিত্রকে কাহিনি জুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভিএফএক্সেই মুঞ্জেয়া-র বাজেটের অর্ধেকের বেশি পরিমান টাকা খরচ করা হয়েছে। ভারতীয় বক্স অফিসে ছবিটি প্রায় ১২৪ কোটি টাকা আয় করেছে। পৃথিবী জুড়ে 'মুঞ্জেয়া'-র মোট ব্যবসা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।
সিনেমায় ভূত দেখবেন। অথচ ভয় পাবেন না। কী কেলেঙ্কারিয়াস কাণ্ড বলুন তো? এমন চললে তো ভূত সমাজের ভৌতিক অধিকার নিয়েই তো প্রশ্ন উঠে যাওয়ার কথা। কিন্তু আপাতত কিছুই করণীয় নেই। ভয় না পেলেও চলবে, এবার ভূতের সঙ্গেই জমবে ভাব। হরর কমেডি নিয়ে বড় পর্দায় আসছে রাজা সাব। 'কল্কি'-র পরে প্রভাসের আগামী প্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম 'দ্য রাজা সাব' মুক্তি পেতে চলেছে ২০২৫-এর ১০ এপ্রিল। প্রভাসের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মালবিকা মোহনান, সঞ্জয় দত্ত, যিশু সেনগুপ্ত, অনুপম খের, ঋদ্ধি কুমার এবং নিধি অগ্রবাল। শোনা যাচ্ছে এই ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য প্রভাস নাকি কোনও পারিশ্রমিকই নেননি। তার পরিবর্তে তিনি নির্মাতাদের সঙ্গে প্রফিট শেয়ারিংয়ের চুক্তি করেছেন। প্রভাসের এই রোম্যান্টিক-হরর ছবিটি পরিচালনা
করছেন মারুতি দাসারি। কিছু অংশের আউটডোর শ্যুটিং বাদে ছবিটির বেশির ভাগ শ্যুটিংই হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি একটি বাংলোর সেটে। লার্জার দ্যান লাইফ অ্যাকশন হিরোর পরিবর্তে প্রভাসকে এই ছবিতে এক্কেবারে নতুন একটি চরিত্রে আবিষ্কার করবেন দর্শকেরা। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি এই ছবিতে কাহিনি এগিয়েছে বিত্তশালী পরিবারের এক তরুণকে ঘিরে। পৈতৃক সম্পত্তি এবং পারিবারিক একটি মহলের উত্তরাধিকার পেলেই তাঁর জীবনে কোনওদিনও অর্থাভাব থাকবে না। এদিকে যে সুবিশাল মহলের দাবি নিয়ে সে স্বপ্ন দেখছে, সেই মহল অধিকার করে বসে রয়েছে ভুতুড়ে চরিত্র রাজা সাব। রাজা সাব কি মহলের উপর থেকে নিজের অধিকার ছাড়বেন? উত্তরের জন্য ১০ এপ্রিল অবধি অপেক্ষা করতেই হবে। মারুতি পরিচালিত দ্য রাজা সাব হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম এবং কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে।
আগামীতে বেশ কয়েকটি হিন্দি হরর কমেডি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেই তালিকায় রয়েছে প্রিয় দর্শন পরিচালিত, অক্ষয় কুমার অভিনীত ভূত বাংলা। ২০২৫-এর দীপাবলিতে মুক্তি পাবে আয়ুষ্মান খুরানা, রশ্মিকা মন্দানা, পরেশ রাওয়াল অভিনীত হরর কমেডি 'থামা'। শ্রেয়স তালপড়ে, তুষার কপূর অভিনীত হরর কমেডি 'কাপকাপি'-ও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। বলিউডি ছবিতে মজার ভূতের ভূমিকায় শাহরুখ খান থেকে ক্যাটরিনা কাইফ...বহু তারকাকেই দেখা গিয়েছে। শাহরুখের মজাদার ভুতুড়ে চরিত্র থেকেও রোম্যান্সের গন্ধ কিন্তু যায়নি। সিনেমায় শাহরুখ প্রেমিক ভূত। পরিচালক অমোল পালেকরের ‘পহেলি’-তে এহেন শাহরুখের বিপরীতে ছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। আর এই সিনেমায় ওঝার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে।
ভূতনাথ আর ভূতনাথ রিটার্নস। দু’টি ফিল্মেই মজার এক ভূতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় পরিচালক বিবেক শর্মার ‘ভূতনাথ’। সেই ফিল্মে অমিতাভ ছাড়াও ছিলেন শাহরুখ খান, জুহি চাওলা। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ফিল্মটির সিকুয়েল ‘ভূতনাথ রিটার্নস’। ভূতের ছায়া ভর করেছিল সলমন খানকেও। ১৯৯৯ সালের সিনেমা হ্যালো ব্রাদার-এ
সলমন খানের চরিত্রটির কথা মনে আছে? সেখানে সলমনের মজার ভুতুড়ে অস্তিত্ব মন কেড়েছিল দর্শকদের।
মাঘ মাসের শীতে - গান ধরেছিল ভূতে। জি ফাইভ অরিজিনাল ফিল্ম কাকুড়ায়, রিতেশ দেশমুখ ছেলেধরা নয়, এক পেশাদার 'ভূতধরা' ভিক্টরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ভূত ধরে বেড়ানোটাই কাজ ছিল ভিক্টরের। তাই ভিক্টরকে দেখে ভূতেদের ভয় পাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। সোনাক্ষী সিনহাও ছিলেন এই ছবিতে। শাহরুখ খান আর নাসিরুদ্দিন শাহ রাজীব মেহরার একটি ফিল্মে অভিনয়
করেছিলেন ১৯৯২ সালে। সিনেমাটির নাম ছিল চমৎকার। সেই ফিল্মে নাসিরুদ্দিন শাহর চরিত্রটিও ছিল মজাদার এক ভূতের। আর সেই ভূতের সঙ্গে সখ্যতা ছিল শাহরুখের চরিত্রটির, মানে সিনেমার সুন্দর শ্রীবাস্তবের। সুন্দরের জীবনের সমস্যার সমাধানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই বন্ধুভূত, মার্কো। তুড়ি মেরে ভুরি ভুরি মজাদার ভূত পাবেন বলিউডি ফিল্মে। আনন্দ এল রাই অনুষ্কা, শর্মা আর দিলজিৎ দোসাঞ্জকে নিয়ে বানিয়েছিলেন ফিল্লৌরি। রোহিত শেঠীও ভূতের হাতে ছেড়েছিলেন গোলমেলে ব্যাপার সামলানোর দায়িত্ব। ২০১৭-য় মুক্তি পেয়েছিল তাঁর গোলমাল এগেন।
ক্যাটরিনা কাইফ ভূতের চরিত্রে অভিনয় করছেন এটা জানার পরই অনেক দর্শক ভূতলোকের টিকিট খুঁজেছিলেন। ফোন ভূতের চিত্রনাট্যে সেই টিকিটের টিকি বেঁধে রাখার চেষ্টা
হয়েছিল বটে, কিন্তু তা সফল হয়নি। মজাদার, মোহময়ী ভূতের ভূমিকায় ক্যাটরিনার সঙ্গে ফোন ভূতে অভিনয় করেছিলেন ঈশান খট্টর আর সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। ক্যাটরিনার সঙ্গে ঘোস্টিউম পড়ে তাঁরা বেরিয়ে পড়েছিলেন ভূত ধরতে। কিন্তু মজাটা হয় তখনই যখন ভুতুড়ে বাড়ির ভুতুড়ে সদস্যরা ভেবে বসে, তাঁরা ঘোস্ট কন্ট্রোল করতে নয়, পেস্ট কন্ট্রোল করতে এসেছেন।
ইতিহাসের দলিল বলছে ভূতপূর্বে ভূতগণকে দিয়ে ভয় দেখানোর পরিবর্তে বেজায় কমেডি করিয়েছেন স্বনামধন্য পরিচালকেরা। সত্যজিৎ রায়ের মত ভূতের ব্যবহার আর কে করেছেন বলুন তো সিনেমায়? শুধু ভূতের রাজাকেই নামিয়ে আনেননি, আহা ভূত, বাহা ভূত, কিবা ভূত, কিম্ভূত, রোগা ভূত, মোটা ভূত, সোজা ভূত, বাঁকা ভূত ....ভূতের মেলা বসিয়েছেন তিনি। ডোল বাজিয়ে নেচেছে বাঘা, আর গলা ছেড়ে ভূতেদের বর্ণনায় গান ধরেছে গুপি। আর ওদিকে সেই বাঁশবাগানে ভূতেদের নেত্য। সত্যি....এমন ভয় পাওয়ার মজাই আলাদা।
এমন মজারু ভূতের পাশাপাশি সত্যজিৎ রায় কিছু সিরিয়াস ভূতও ধরেছেন সিনেমায়। মণিহারায় সন্ধেবেলায় সাহা বাড়ির পুকুর পাড়ে ফণিভূষণ সাহার ভূত নিজেই স্কুলমাস্টারের কাছে জানতে চান,
তিনি ভূতে বিশ্বাস করেন কিনা। এমন ভূতের সাক্ষাতের পর আর অবিশ্বাসের অন্ধকার থাকে কীভাবে? আক্ষরিক অর্থেই সিনেমায় ভূতেদের অমর করেছেন সত্যজিত রায়। ১৯৬৯ সালে গুপি গাইন বাঘা বাইন মুক্তির পরই সবাই স্বীকার করেছেন ভূতের রাজার বশ্যতা। আমলকি আর হরতুকি গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে গুপি আর বাঘা বাঁশ বনে এসে সাক্ষাত পেয়েছিল ভূতের রাজার৷ সেই দৃশ্যে সত্যজিতের স্বরেই বর দিয়েছিলেন ভূতের রাজা৷ আর রাজার তিন বরেই পাল্টে গিয়েছিল গুপিবাঘার জীবন৷
বাংলা সিনেমায় বারে বারে ধরা পড়েছে মজাদাক ভূতুড়ে ছায়া। তিন প্রজন্মের নারীর কাহিনি নিয়ে পরিচালক অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’-তেও ভূত আছে। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কণা সেনশর্মা, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেন এই ছবির মুখ্য চরিত্রে। ভূতেদের জীবনচর্চায় নানা সমস্যার প্রেক্ষাপটে অনীক দত্তর ভূতের ভবিষ্যৎ তো ইতিহাস তৈরি করে দিয়েছে। মানুষেরা ভূতে ভয় পায়, চিরদিন এটাই শোনা গিয়েছে। কিন্তু সৌকর্য ঘোষালের ছবি ভূতপরীতে দেখা গেল ভূতেও মানুষকে ভয় পায়। জয়া আহসান, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বিষান্তক মুখপাধ্যায় অভিনীত ভূতপরীতে ভুতুড়ে চরিত্রই বন্ধুত্ব পাতিয়েছে গ্রামের এক কিশোরের সঙ্গে।
এই মজারু ভূতের চর্চার মাঝে একটা তথ্য ছোট্ট করে জানিয়ে রাখা যাক। বলিউডে প্রথম ভুতুড়ে ফিল্ম কোনটি বলুন তো? তর্কসাপেক্ষভাবে যে সিনেমাটির নাম উত্তর হিসেবে উঠে আসে, সেটি হল পরিচালক কামাল আমরোহির ‘মহল’। ফিল্মটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অশোক কুমার আর মধুবালা। মজার ভূতের গল্পে এরচেয়ে মধুরেন সমাপয়েৎ আর কী হতে পারে?
আরও পড়ুন: Mouni Roy Diet Plan: বাঙালি অভিনেত্রীর পাতে থাকে ভাত, আলু, শাক! কোন ম্যাজিকে এত ফিট মৌনী?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে