কলকাতা: সন্ধের মধ্যমণি তিনিই। নীল গাঢ় কাজ করা শাড়ি, ভারী গয়না আর মাথার খোঁপায় তাঁর সাজ সম্পূর্ণ। প্রেক্ষাগৃহের অন্ধকারে তখন তিনি 'মহানন্দা'। তার মধ্যেই প্রেক্ষাগৃহের বাইরে সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী (Gargee Roychowdhury)। এক ফাঁকে এবিপি লাইভের ক্যামেরা মুখোমুখি হয়ে ভাগ করে নিলেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। 


'মহানন্দা' নিয়ে আশা-প্রত্যাশা


বড়পর্দায় 'মহানন্দা' (Mahananda)। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? গার্গী বললেন, 'অবশ্যই ভালো। যাঁরা অভিনেতা বা অভিনেত্রী নন, তাঁদের থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগছে। এবার আরও বেশি দর্শকের কাছে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে ছবিটা, তাঁদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায়।' দর্শকদের কী বলতে চান নায়িকা? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমায় দর্শকেরা ভালোবাসেন, চান আমার ভালো হোক। আমায় নিজেদের লোক বলেই মনে করেন সবাই। সেই অধিকারবোধ থেকেই বলব হলে এসে বাংলা ছবি দেখুন।'


ছবি মুক্তির আগে এবিপি লাইভকে গার্গী বলেছিলেন, দর্শকদের কাছে আমার কোনও প্রত্যাশা নেই। আমরা বাঙালি। আমি জানি ভালো জিনিসকে বাঙালি এখনও মর্যাদা দেন। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার লাইকসে বিশ্বাসী নই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও ট্রোলড হইনি আমি। যাঁরা আমায় ভালোবাসেন, আমার দর্শকেরা এই ছবিটা হলে এসে দেখুন, ভালো লাগবে।'


আরও পড়ুন: দক্ষিণী ছবি নিজেদের ভাষা নিয়েই লড়াই করছে, সাহস করলে বাংলা ছবি, গানও পারবে: ইমন


 


গার্গী থেকে 'মহানন্দা'


কেমন ছিল গার্গী থেকে মহাশ্বেতা দেবী হয়ে ওঠার যাত্রাটা? গার্গী বললেন, 'আমি মহাশ্বেতা দেবী হতে চাইনি, 'মহানন্দা' হতে চেয়েছিলাম। তবে এই ছবিটা মহাশ্বেতা দেবীর জীবন নিয়ে, তাঁর ভাবধারা নিয়ে। আমি মানুষের সাক্ষাৎকার দেখি খুব। ছবির কাজ শুরু হওয়ার আগে আমি মহাশ্বেতা দেবীর অনেক সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। সেটা আমায় খুব সাহায্য করেছে। তবে হ্যাঁ, একজন মানুষের স্পন্ডেলাইটিস থাকলে সে উঁচু জায়গায় বসে কীভাবে লেখে, ঠিক কতোটা খুঁড়িয়ে হাঁটলে বোঝা যাবে মানুষটার পায়ে ব্যথা.. এইগুলো আমায় এইগুলো ভাবতে হয়েছে। আমায় এই ছবিতে ৫টা বয়স ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। পরিচলকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, আমায় ভাষার ধরণ শিখতে হয়েছে। সব মিলিয়ে 'মহানন্দা' আমার কাছে একটা খুব আবেগের যাত্রা।'