কলকাতা: মৃদু আলো জ্বলা রেস্তোরাঁয় এসে গোলাপি সিল্ক শাড়ি সামলে দ্রুত পায়ে ঢুকলেন তিনি। হাসি মুখে সৌজন্য বিনিময় করে নিলেন হাঁটতে হাঁটতেই। তারপর হাতের ব্যাগ রেখে চুল সাজিয়ে নিলেন কয়েক মিনিটে। ক্যামেরার সামনে ফিরে তৈরি হয়ে বসলেন পর্দার 'মহানন্দা' (Mahananda)। গার্গী রায়চৌধুরী (Gargee Roychowdhury)।
আগামী ৮ এপ্রিল বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে অরিন্দম শীল (Arindam Sil) পরিচালিত, গার্গী রায়চৌধুরী, ঈশা সাহা- (Ishaa Saha), দেবশঙ্কর হালদার (Debshankar Haldar) অভিনীত, মহাশ্বেতা দেবীর (MahaSweta Devi) জীবন আধারিত ছবি 'মহানন্দা'। ছবি মুক্তির ঠিক আগে এবিপি লাইভের ক্যামেরায় ছবি নিয়ে নিজের আবেগ উজাড় করে দিলেন গার্গী।
'মহানন্দা' শুরুর গল্প
'মহানন্দা'-র শুরুটা হয়েছিল কীভাবে? গার্গী বলছেন, 'এর পিছনে একটা মজার গল্প রয়েছে। যখন আমি ভাবছি কোনও বায়োপিক করব, তখন আমার কর্তাই প্রথম আমায় বলেন মহাশ্বেতা দেবীর জীবন নিয়ে ছবি করার কথা। উনি কিছু তথ্য লিখে আমায় বলেন অরিন্দম শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। অরিন্দম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, ছোটপর্দায় একসঙ্গে অভিনয় করেছি। ওকে স্ক্রিপ্টটা দেওয়ার পরের দিনই ফোন করে বলে, 'গার্গী আমি কিন্তু মহাশ্বেতা হিসেবে, বলা ভালো মহানন্দা হিসেবে তোমাকেই দেখছি। সেই শুরু। তারপর বহুবার চিত্রনাট্য পড়েছি, চিত্রনাট্য বদলেছে। ৩ বছর আগে এই সবকিছুর শুরু হয়েছিল। মাঝখানে করোনা এসেছে। আমরা ভিডিও কলে ছবিটা নিয়ে কথা বলতাম তখন।'
আরও পড়ুন: 'নববর্ষ মানে সুতির পোশাক, প্লাস্টিকের গ্লাসে কোল্ড ড্রিঙ্কস'
গার্গী থেকে 'মহানন্দা'
কেমন ছিল গার্গী থেকে মহাশ্বেতা দেবী হয়ে ওঠার যাত্রাটা? গার্গী বললেন, 'আমি মহাশ্বেতা দেবী হতে চাইনি, 'মহানন্দা' হতে চেয়েছিলাম। তবে এই ছবিটা মহাশ্বেতা দেবীর জীবন নিয়ে, তাঁর ভাবধারা নিয়ে। আমি মানুষের সাক্ষাৎকার দেখি খুব। ছবির কাজ শুরু হওয়ার আগে আমি মহাশ্বেতা দেবীর অনেক সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। সেটা আমায় খুব সাহায্য করেছে। তবে হ্যাঁ, একজন মানুষের স্পন্ডেলাইটিস থাকলে সে উঁচু জায়গায় বসে কীভাবে লেখে, ঠিক কতোটা খুঁড়িয়ে হাঁটলে বোঝা যাবে মানুষটার পায়ে ব্যথা.. এইগুলো আমায় এইগুলো ভাবতে হয়েছে। আমায় এই ছবিতে ৫টা বয়স ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। পরিচলকের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, আমায় ভাষার ধরণ শিখতে হয়েছে। সব মিলিয়ে 'মহানন্দা' আমার কাছে একটা খুব আবেগের যাত্রা।'