কলকাতা: খবরের কাগজে ধর্ষণের খবর দেখলে পাতা উল্টে নেন তিনি, পড়েন না, চ্যানেল বদলে দেন। ২০২১ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া নির্ভয়াকাণ্ড দেশের আর সব মানুষের মত বিব্রত করেছিল তাঁকেও। সেই নামেই তৈরি হচ্ছে ছবি। চিত্রনাট্য শোনার পর চুপ করে বসেছিলেন কিছুক্ষণ, কথা বলতে পারেননি। একটা ১৩ বছরের মেয়ের গল্প এটা। তবে শৈশবের নয়, এই গল্প লড়াইয়ের। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে অংশুমান প্রত্যুষের নতুন ছবি 'নির্ভয়া' (Nirbhaya)। একজন গণধর্ষণের শিকার হলে দোষীকে শাস্তি দেয় আইন। কিন্তু ঠিক কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় নির্যাতিতাকে? সেই গল্পকেই পর্দায় তুলে ধরবে 'নির্ভয়া'। এবিপি লাইভের কাছে নতুন ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakrabarty)। 


দোষীর শাস্তি হয়, কিন্তু নির্যাতিতার প্রতি কী সঠিক দায়িত্ব পালন করে সমাজ? ছবিতে একজন আইনজীবীর চরিত্রে দেখা যাবে গৌরবকে। এই ছবিতে অভিনয় করা কী গুরুদায়িত্ব ছিল? অভিনেতা বলছেন, 'প্রথমবার চিত্রনাট্য শুনে কথা বলতে পারিনি। ধর্ষণ বিষয়টা বরাবরই আমায় ভীষণ বিব্রত করে। আমার আশা, এই ছবিটা প্রত্যেকটা দর্শককে বিব্রত করবে, ভাবাবে। নির্যাতিতার প্রতি যে সমাজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে, সেটা ভাবাবে সবাইকে।'


খবর এড়িয়ে যান, অথচ দিনের পর দিন শ্যুটিং করতে হয়েছে এই বিষয়বস্তু নিয়েই। ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে এই ছবি? গৌরব বলছেন, 'আমি কখনও অভিনয় শিখিনি। আমার জীবনে সব অভিনয় শিক্ষাই অভিজ্ঞতা থেকে। আমি এমন অভিনেতা নই যে সেট থেকে বেরিয়েও চরিত্রে ডুবে থাকব। সুইচ অন সুইচ অফটা আমি পারি। কিন্তু এি ছবিটার ঘোর কাটাতে সময় লেগেছে আমারও।'


সমাজে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে সবচেয়ে জরুরী কী? গৌরব বলছেন, 'আমার মনে হয়, পারবারিক শিক্ষা। আমার যদি একজন মেয়ে থাকে আর একজন ছেলে থাকে আমি কখনও মেয়েকে শেখাব না, এই পোশাক পরবে না বা ওখানে যাবে না। বরং ছেলেকে শেখাব, মেয়েদের সম্মান করা উচিত। কারণ আমি এই শিক্ষাতেই বড় হয়েছি। মেয়েদের বাধা দেওয়ার থেকে পুরুষদের শিক্ষা দেওয়াটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। সমাজের পুরুষেরা ভালো হলে মেয়েদের আর সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে না। '