কলকাতা: টলিউড থেকে বলিউড। বিনোদনের জগতে সারাদিন কোথায় কী হল? একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন সেরা খবরগুলিতে (Top Entertainment News Today)।


হাসপাতালে পন্থ, 'অনুরাগী' অনিল কপূর, অনুপম খের ছুটলেন দেখতে-


অনুপম খেররা জানান তাঁরা পন্থের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁকে যথাসম্ভব হাসানোরই চেষ্টা করেছেন। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুপম খের বলেন, 'আমরা একজন অনুরাগী হিসাবেই ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমরা হাসাপাতালের লবিতেই বসে ছিলাম। তখনই একজন ডাক্তার আমাদের দেখে চিনতে পারেন এবং পন্থের সঙ্গে আমাদের দেখা করার অনুমতিও দেন। আমরা মাস্ক পরে থাকায় প্রথমে আমাদের কেউই চিন্তে পারেননি। ওঁদের সঙ্গে দেখা করে আমরা ওঁদের যথাসম্ভব হাসানোর চেষ্টা করেছি।'


ফেব্রুয়ারিতেই সাতপাক ঘুরে ফেলছেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা, ভেন্যুও নাকি ঠিক?


আগে জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যেই গাঁটছড়া বাঁধবেন সিড-কিয়ারা।  বিয়ের দিন শুধু নয়, বিয়ের  ভেনুও এক্কেবারে পাকা।  রাজস্থানের জয়সলমীরে হবে বিয়ে । ওই রিপোর্ট অনুসারে "সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা ৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করতে চলেছেন। তাদের প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠান ৪ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি হবে। সেখানেই হবে  অতিথি  সমাগম। সম্পন্ন হবে মেহেন্দি, হলদি এবং সঙ্গীত অনুষ্ঠান ।  বিবাহ ৬ তারিখ। সাত পাক হবে প্যালেস হোটেলে । এই বছরের অন্যতম বিগ ফ্যাট ওয়েডিং হতে চলেছে এটি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে পারে ভিকি ক্যাটের বিয়ের মতোই আঁটোসাঁটো।  ইটাইমস এক সূত্রে জেনেছে এই খবর। শেরশাহ ছবিতে তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করেন। 


হাতে হাত রেখে বছরের শেষ সূর্যোদয় দেখা, ফ্রেমবন্দি হল স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে বিরাটের ‘পিকচার পারফেক্ট’ মুহূর্ত-


বর্ষবরণের আগে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বিরাট। তাতে রক্তিম আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাঁধ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনুষ্কা। বিরাটের বুকের ঘেঁষে থাকা যে ছোট্ট মাথাটি উঁকি দিচ্ছে, দেখে বোঝা যায় কোলে রয়েছে মেয়ে ভামিকা। ২০২২-কে বিদায় জানানোর তোড়জোড় চলছে যখন, তাঁদের এই 'পিকচার পারফেক্ট' মুহূর্ত ফ্রেম করে রাখার মতোই। ছবিটি পোস্ট করে বিরাট লেখেন, '২০২২-এর শেষ সূর্যোদয়'। অনুষ্কা যদিও আলাদা করে ওই ছবি পোস্ট করেননি, তবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সূর্যোদয়ের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন তিনিও। একই সঙ্গে নিভৃত যাপনের বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি, যা শুক্রবার রাতের বলে জানিয়েছেন। তাতে যদিও ভামিকাকে দেখা যায়নি। বরং স্বামী-স্ত্রীর সাজগোজে তারকাসুলভ জৌলুসই চোখে পড়েছে। তাতে অনুষ্কা লেখেন, 'গতকাল রাতের শহরে আমরা'।


আরও পড়ুন - Anushka Sharma: খাদ্যরসিক অনুষ্কা! ডায়েট ভুলে কোন খাবারে মজলেন?


বছরশেষে ছুটির মেজাজে বিরুষ্কা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করলেন অনুষ্কা-


বাংলাদেশ সিরিজের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এ বছরের সূচিও শেষ হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এমনিই বাংলাদেশ সিরিজ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজের মধ্যে বেশ কিছুদিনের ব্যবধান রয়েছে। উপরন্তু, বিরাট কোহলিকে দ্বীপরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত বিরাট বেশ কিছুদিন ছুটিতে কাটাতে পারবেন। এই সুযোগেই দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন 'বিরুষ্কা' (Virushka)। বিখ্যাত বুর্জ খলিফার সামনে দাঁড়িয়ে দুইজনের এক সুন্দর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বলিউড তারকা অনুষ্কা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'গত রাতে এই শহরে আমরা।'


এই 'বিশেষ' দিন এবং সময়ে মুক্তি পাবে 'অ্যানিমল' ছবির ফার্স্ট লুক-


রণবীর কপূর ও রশ্মিকা মন্দান্না ছাড়াও 'অ্যানিমল' ছবিতে দেখা যাবে বলিউডের আরও বেশ কিছু তাবড় অভিনেতাদের। যাঁদের তালিকায় রয়েছেন, অনিল কপূর, ববি দেওল, তৃপ্তি দিমরিদের মতো নাম। ছবিটি পরিচালনা করছেন 'কবীর সিং', 'অর্জুন রেড্ডি' খ্যাত সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। দর্শকরা এই তাবড় অভিনেতাদের এক ছবিতে দেখার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। নির্মাতাদের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি এই ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশের দিন ক্ষণ জানানো হয়। জানানো হয়েছে যে, ৩১ ডিসেম্বর ঠিক রাত ১২টায় প্রকাশ্যে আসবে 'অ্যানিমল' ছবির ফার্স্ট লুক। যেসময়ে কিনা আবার নতুন বছরও পড়ে যাচ্ছে। ২০২২কে বিদায় এবং ২০২৩কে স্বাগত জানানোর সন্ধিক্ষণেই সামনে আসবে ছবির ফার্স্ট লুক। 


'তুনিশা শর্মাকে খুন করা হয়েছে', ফের উঠল দাবি-


সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে তুনিশা শর্মার মৃত্যু প্রসঙ্গে নিজের মত দেন প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা। তিনি জানান যে, তুনিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। অভিনেত্রীর মায়ের কষ্টটা তিনি অনুভব করতে পারেন। কারণ, মাত্র কয়েকটা বছর আগেই তিনিও তাঁর কন্যাকে এভাবেই হারিয়েছেন। প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। প্রত্যুষা যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। আর ২০ বছরের তুনিশার মৃত্যুতে তাঁর মায়ের কতটা কষ্ট হচ্ছে, সেটা তিনি অনুভব করতে পারছেন। প্রত্যুষার বাবা বলছেন, 'যখন তুনিশার মৃত্যুর খবর পড়লাম, তখন যেন আচমকা আমার পুরনো ক্ষত তাজা হয়ে উঠল। একজন বাবা হিসেবে অনুভব করতে পারি, তুনিশার মায়ের উপর দিয়ে কী যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে কি, যতটা বুঝতে পারছি, তুনিশার মৃত্যু আসলে ওকে খুন করা হয়েছে। আমার তেমনই মনে হয়। গত কয়েক বছরে এমন সমস্ত মৃত্যুগুলোকেই আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা হয়েছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ক্ষেত্রেও। আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলি। আমরা দুজনেই ফের কেঁদে ফেলি। বুঝতে পারি, ফের একজন মা তাঁর সন্তানকে হারিয়ে ফেললেন। ওঁর দুঃখ যেন আমাদেরও দুঃখ।' পাশাপাশি এমনও বলেন, 'যদি কেউ নিজের ইচ্ছায় আত্মহত্যা করে, তাহলে তো সে অবশ্যই সুইসাইড নোট বা কোনও চিঠি লিখে রাখবে। যাতে অন্য কোনও ব্যক্তি অকারণে হয়রান না হয়। আর এটা তো স্পষ্ট খুন। তুনিশাকে খুন করা হয়েছে।'


তারকা হওয়া বড় দায় এবং অস্বাস্থ্যকর! কেন এমন বললেন হৃত্বিক রোশন?


হৃত্বিক রোশনকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছে 'বিক্রম বেদা' ছবিতে। ছবিটি তামিল ছবি 'বিক্রম মেদা'র রিমেক। যাতে অভিনয় করেছিলেন বিজয় সেতুপতি এবং মাধবন। হিন্দি রিমেকে হৃত্বিকের সঙ্গে দেখা যায় সেফ আলি খানকে। তামিল ছবিটি বক্স অফিসে যেমন সাফল্য পায়, তেমন দাগ কাটতে পারেনি হৃত্বিক রোশনের 'বিক্রম বেদা'। হৃত্বিক বলছেন, 'যখনই আমি অভিনেতা হিসেবে কাজ করি, তখন খুব স্বচ্ছ্বন্দের সঙ্গে কাজ করি। আর যখনই তারকা হিসেবে কাজ করি, তখন অনেক দায় থাকে আমার উপর। ফলে, তার প্রভাব পড়ে ছবিতেও। যখন 'কাবিল', 'সুপার ৩০'-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছিল, মনের আনন্দে করতে পেরেছি। কোথাও মনের মধ্যে কাজ করছিল যে, আমাকে পর্দায় আসল জিনিসটা তুলে ধরতে হবে। তখন অনেক শান্ত মাথায়, নিজের অভিনয়ে মন দিতে পেরেছি। আমার কাছ থেকে কোনও প্রত্যাশাও থাকে না। আর যখনই আমাকে স্টার লাগতে হবে, এমন চরিত্রে বা ছবিতে অভিনয় করেছি, তখনই অনেক দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আর এই দায়িত্ব অনেক দিন থেকে অস্বাস্থ্যকরও।'


'আমার বাবা জীবন্ত মানুষ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে গেল', চঞ্চল চৌধুরীর পোস্টে চোখ ভিজল নেটিজেনদের-


এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বাবাকে নিয়ে ফের আবেগপ্রবণ হতে দেখা গেল চঞ্চল চৌধুরীকে। তিনি লিখেছেন, 'কেবিন নং ৯০২... বাবাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালের এই কেবিনেই ভর্তি করেছিলাম। যদিও বাবার আর কেবিনে থাকা হয়নি। কারন শুরু থেকেই বাবাকে আই সি ইউ তে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ভর্তির দিনই ডাক্তার বলে দিয়েছিলেন, এখান থেকে বাবার ফিরে আসার আর কোন সম্ভাবনা নেই, যদি না সৃষ্টিকর্তা অবাক কিছু ঘটান। তারপর থেকে আমরা শুধু অপেক্ষা আর চেষ্টা করেছি বাবাকে ফিরিয়ে আনতে। বাবা প্রায় ১৫ দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে হেরে গেলেন। ডাক্তারদের হিসেব মত যে কোন সময় চলে যাওয়ার কথা বললেও, বাবা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে বেঁচে ছিলেন। সন্তান বা আত্মীয় পরিজন হিসেবে চোখের সামনে এই কষ্ট দেখা যায়না। একটা সময় প্রার্থনা করেছি বাবার জ্ঞান ফিরে আসুক, সুস্থ্য হয়ে যাক, বিনিময়ে আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। ঠিক সেই আমরাই শেষের দিকে এসে, বাবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রার্থনা করেছি, বিশ্বাস করেছি, একমাত্র মৃত্যুই বাবাকে এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে পারে।'