কলকাতা: জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের (Mahua Gop)মন্তব্য ভাইরাল। তিনি স্পষ্ট বলেন, ' বিজেপির ঘর পাইয়ে দেবার ক্ষমতা নেই। আবাস যোজনার ঘর পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে'। আর ইতিমধ্যেই এই মন্তব্যে রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড়। ময়দানে নামলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়ে এবিপি আনন্দকে বলেছেন, 'মহুয়া গোপের মন্তব্য দল অনুমোদন করে না।'


এদিন  কুণাল ঘোষ বলেন, যিনি এটা বলেছেন, এধরণের কোনও বক্তব্যকে আমরা অনুমোদন করিনা। দল অনুমোদন করে না। অপ্রয়োজনীয় , অবাঞ্চিছিত এবং অতি উৎসাহে এই ধরণের বক্তব্য বলছেন, বলেই দলকে এত ভাল কাজ করার পরেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় !এই ধরণের বক্তব্য কোনও অবস্থাতেই অনুমোদন করা হচ্ছে না। এবং দলের নিশ্চয়ই শীর্ষ নের্তৃত্ব বিষয়টি নজরে রাখবেন, খেয়াল করবেন। যেখানে মমতা বন্দ্যোওপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে সব কটা স্কিম, যা যেখানে কাজ হচ্ছে, যেটা যৌথ উদ্যোগে আছে যেটা রাজ্যের নিজস্ব আছে, কোথাও দল দেখে করছে না। সেখানে বিজেপি পরিবারের কন্যাও কন্যাশ্রী পেতে পারেন।' 


 রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি (PMAY Scam) ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এবার জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের মন্তব্য ভাইরাল (Jalpaiguri TMC)। তিনি স্পষ্ট বলেন, ' বিজেপির ঘর পাইয়ে দেবার ক্ষমতা নেই। আবাস যোজনার ঘর পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে'। তিনি সাফ বলেন, 'সকল সরকারি সুবিধার পাশাপাশি যদি ঘরটাও পেতে হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে।' এরপরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এদিকে মহুয়া গোপকে গ্রেফতার করা উচিত বলে দাবি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার। 


আরও পড়ুন, বর্ষশেষে থানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বিজেপি বিধায়কের


প্রসঙ্গত, আবাস যোজনায় বরাদ্দ বাড়ি ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে শাসকদল। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল করে পার্টি অফিস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আবাস যোজনায় তৈরি উপভোক্তার বাড়ি, নাকি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, ৩ বছর পরেও উত্তর  অধরা। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুরের বিডিও। উপভোক্তার নামে বরাদ্দ হয়েছিল সরকারি প্রকল্পে বাড়ি। অভিযোগ, সেই ঘর উপভোক্তাকে না দিয়ে পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বছর দেড়েক আগে সেই বাড়ি ফিরিয়েও দেওয়া হয়েছিল উপভোক্তাকে। কিছুদিন সেই ঘরে ঠাঁই হলেও, অভিযোগ, সেখানে এখন ফের রমরমিয়ে চলছে তৃণমূল কার্যালয়।