কঠিন এই পরিস্থিতিতে বাংলার বহু অসহায় মানুষের কাছে মসিহা হয়ে উঠেছেন অভিনেতা দেবও। ঘাটালের সাংসদের সৌজন্যে দীর্ঘদিন নেপালে আটকে থাকার পর ঘরে ফেরেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৫০ জন ঘরে ফিরে এসেছেন দেবের উদ্যোগে।
তিনি তৃণমূল সাংসদ হয়েও কেন্দ্র-রাজ্যের জটিলতায় না গিয়ে বলেন, এখন রাজনীতির সময় নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।
তিনি যে ব্যতিক্রমী আবার প্রমাণ করলেন দেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গরিব, শারীরিক প্রতিবন্ধী মাস্ক বিক্রেতার পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
বেলঘড়িয়ার এই মাস্ক বিক্রেতার কথা তুলে ধরেন সোমনাথ সরকার নামে এক ব্যক্তি। তিনি ফেসবুকে ছবি সহ পোস্ট করেন, ভদ্রলোকের নাম অমল ভৌমিক, বাড়ি বেলঘড়িয়ার প্রফুল্লনগর রিক্রিয়েশন ক্লাবের সামনে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে উনি গোটা বেলঘড়িয়া জুড়ে হেঁটে হেঁটে মাস্ক বিক্রি করেন। নাইট ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সকাল বেলায় হঠাৎ করে ওঁর সাথে রাস্তায় দেখা, সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম যেটুকু করা যায়। ওঁর আক্ষেপ শাসক দলের অনেক নেতা,কাউন্সিলের কাছে ঘুরেও ওঁর সামান্যতম সুরাহাও কিছু হয়নি,ভদ্রলোক বার্ধক্যভাতাও পান না, সবাই দেখছি দেখব বলে এড়িয়ে যায়। ভদ্রলোকের স্ত্রীর নম্বর পোস্ট করে তিনি অনুরোধ করেন, যদি কিছু করা যায় ওঁদের জন্যে।
এই পোস্টটি পড়ে নিজেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন সাংসদ দেব। পোস্ট রিশেয়ার করে তিনি লেখেন,'ওনার কথা জানানোর জন্য ধন্যবাদ, সাহায্য করতে পারলে খুশি হব।'
দেবের তরফে সাড়া পেয়ে সোমনাথ সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানান। লেখেন, 'মানুষগুলোকে বাঁচান, মানুষ বড্ড অসহায়।'