কলকাতা: মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই আয় ২ কোটিরও বেশি! ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ খোলার পর সবচেয়ে বেশি আয় করল দেব অভিনীত ছবি 'গোলন্দাজ'। গত ৪-৫ দিন ধরে প্রায় প্রত্যেক প্রেক্ষাগৃহে হাউজফুল ছিল ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত এই স্পোর্টস ড্রামা। করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত হলে দর্শক ফেরানোর পিছনে বড় ভূমিকা পালন করল এই ছবি।


ছবির এই সাফল্য উচ্ছসিত পরিচালক। ধ্রুব বলছেন, 'এই ছবির পিছনে থাকা সমস্ত কষ্ট যে ফলপ্রসূ হয়েছে এতে আমি ভীষণ খুশি। বাংলার জনতাকে আমার তরফ থেকে অশেষ ধন্যবাদ।' সবার আশা, উৎসবের মরসুম কেটে গেলে আরও বেশি করে হলমুখী হবে বাঙালি দর্শক।


ফুটবলেরও একাল সেকাল রয়েছে। পর্দায় সেই সময়ের মত করে ফুটবল খেলা কতটা কঠিন ছিল? এবিপি লাইভকে দেব বলছিলেন, 'প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ছবিটাকে হ্যাঁ বলা। আমরা ছবির মধ্যে ১৮৭০ সাল থেকে ১৮৯০ সালের পরিবেশটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তখনকার মানুষদের হাঁটাচলা, কথা বলা, দাঁড়ানো এমনকি ফুটবল খেলার ধাঁচটাও অন্যরকম। সেসময় গায়ের জোরে ফুটবল খেলা হত। আর দেব এই চরিত্রটায় ভুল করতে পারে না। পর্দায় যেন দেবকে দেবের মত দেখতে না লাগে, নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীই লাগে, এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার জন্য। আর হ্যাঁ, ফুটবল, কুস্তি দুটো শিখতেই সময় লাগে।' 


শুধু ফুটবল শেখা নয়, পর্দায় ধুতি পরে ফুটবল খেলতে হয়েছে দেবকে। অভিনেতা বলছেন, 'ধুতি পরলে সাবলীলভাবে পা ফেলা যায় না। বিষয়টা বেশ কঠিনই ছিল। তবে সেসময় কিন্তু বাঙালিরা ধুতি পরেই ফুটবল খেলত। খালি পায়ে ধুতি পরে ফুটবল খেলতে হয়েছে। আর হ্যাঁ, সত্যিই ফুটবলটা খেলতে হয়েছে। মাথায় ছিল, দর্শকের যাতে মনে না হয় যে অভিনয় করছি না, খেলছি। ট্রেলার, গান দেখে দর্শকরা ভালো বলছেন, আমাদের পরিশ্রমটা বুঝতে পারছেন। এর থেকে ভালো অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।'


বার বার দেব বলেছেন, এই ছবি তাঁর প্রথম বায়োপিক। কিন্তু পরিচালক বলছেন অন্য কথা। ধ্রুব বলছেন, 'এটা ঠিক বায়োপিক নয়, একটা হিস্টোরিক ফিকসান। আমার চোখ দিয়ে আমি নগেন্দ্রপ্রসাদকে দেখেছি। ইতিহাস আশ্রিত একটা চিত্রনাট্য এটি। আমার উদ্দেশ্য ছিল, গোলন্দাজ ছবিটাকে অনুপ্রেরণা হিসাবে তুলে ধরা। একইভাবে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী, যাঁর ইতিহাস কেউ জানতেন না, তাঁকে মর্যাদা আর গৌরব ফিরিয়ে দেওয়া। তবে হ্যাঁ, এই ছবিটা দেবের কাছে বায়োপিক। কারণ ওকে নিজেকে ভেঙে নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী হতে হয়েছে। ওকে বিশ্বাস করতে হয়েছে আমিই নগেন্দ্রপ্রসাদ।'