নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) মুখ ব্যবহার করে ভাইরাল হওয়া 'ডিপফেক এআই' ভিডিও (Deepfake AI Video) শোরগোল ফেলেছে। এই ঘটনায় অভিনেত্রীর পাশে ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Union Minister Rajeev Chandrasekhar)। তিনি বলেন, 'ক্ষতিকর ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম দ্বারা মোকাবিলা করা প্রয়োজন।' প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই, তাঁদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন অন্যতম।
রশ্মিকার ভুয়ো 'ভাইরাল' ভিডিওয় সরকারের কী পদক্ষেপ?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন 'পুষ্পা' অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই 'ডিপফেক'-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু 'ডিপফেক' প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতের প্রত্যেক প্রথম সারির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য। অন্য ব্যক্তির বেশ ধারণ করে এমন কোনও বিষয়বস্তু হোস্ট না করার জন্য এবং আইন অনুযায়ী অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবিলম্বে এই ধরনের বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যবহারকারীদের জানানোর জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একটি এক্স (পূর্ববর্তী ট্যুইটার) পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সমস্ত ডিজিটাল নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং আস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত আইটি নিয়মের অধীনে - কোনও ব্যবহারকারীর দ্বারা কোনও ভুল তথ্য যেন পোস্ট করা না হয় তা নিশ্চিত করা প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি আইনি বাধ্যবাধকতা; এবং নিশ্চিত করুন যে কোনও ব্যবহারকারী বা সরকারের দ্বারা রিপোর্ট করা হলে, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভুল তথ্য যেন মুছে ফেলা হয়; যদি প্ল্যাটফর্মগুলি এই নিয়ম মেনে না চলে তবে নিয়ম ৭ প্রযোজ্য হবে এবং প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতে নিয়ে যেতে পারেন; 'ডিপফেক' হল সাম্প্রতিকতম এবং আরও বেশি বিপজ্জনক এবং ভুল তথ্যের ক্ষতিকর রূপ এবং প্ল্যাটফর্মগুলির দ্বারা এর মোকাবিলা করা প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন: 'Kalank' First Look: জন্মদিনে প্রকাশ্যে 'চৈতি'র লুক, 'কলঙ্ক' ওয়েব সিরিজের মুখ্য চরিত্রে রাইমা সেন
কী এই 'ডিপফেক' টেকনোলজি?
'ডিপফেক এআই টেকনোলজি' হচ্ছে এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যার সাহায্যে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর, ডিজিট্যাল কনটেন্ট তৈরি করা যায়, প্রাথমিকভাবে কোনও ব্যক্তির রূপ বা কণ্ঠস্বর বদলে ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়। এতে আধুনিক মানের অ্যালগোরিদম ও মেশিন লার্নিং টেকনিক ব্যবহার করা হয় যার দ্বারা মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ইচ্ছা মতো নষ্ট করা যায়, এবং নতুন তৈরি সেই ভুয়ো জিনিস আশ্চর্যরকমের সত্য বলে মনে হয়। যার ফলে কোনটা আসল, কোনটা নকল বোঝা সত্যিই শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial