মুম্বই: তিনি ট্যুইট যুদ্ধ শুরু করেননি এটা যেমন সত্যি , তেমনই শেষ দেখে ছাড়বেন, এটাও সত্যি । এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। পাশাপাশি, অফিস ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে বৃহন্মুম্বই পুরসভার প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অফিস ভাঙাকে ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করেন। ঊর্মিলা মাতন্ডকরকে ‘সফট পর্নস্টার’ বলায় গত দু’দিন ধরেই চলছে বিতর্ক। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার টুইটারে কঙ্গনা লেখেন, অনেকে বলেন তিনি খুব লড়াকু। তা সত্যি নয়। তিনি ঝামেলা শুরু করেননি। যদি কেউ তা প্রমাণ করতে পারেন তবে ট্যুইটার ছেড়ে দেবেন। একইসঙ্গে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে ট্যুইট যুদ্ধও চলেছে সমানতালে। কঙ্গনা নিজেকে ক্ষত্রিয় ও লড়াকু বলায় অনুরাগ তাঁকে চিন সীমান্তে লড়তে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাল্টা রূপক অর্থ বুঝতে না পারায় অনুরাগকে নির্বোধ বলেছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি এক ট্যুইটে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘আমি এক জন ক্ষত্রিয়। গর্দান দিতে পারি, কিন্তু মাথা নিচু করতে পারব না। দেশের সম্মানের স্বার্থে সব সময়েই মুখ খুলব। আত্মসম্মানের সঙ্গে বেঁচে এসেছি এবং গর্বের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী হয়েই বেঁচে থাকব। কখনই নিজের নীতির সঙ্গে আপস করব না। জয় হিন্দ।’
এ কথার জবাবে কটাক্ষ করে অনুরাগ লেখেন, ‘তুমি বরং চার-পাঁচ জনকে সঙ্গে নিয়ে চিনের সঙ্গে লড়াই করো। চিনকে দেখিয়ে দাও, যখন তুমি আছো, তখন কেউ ভারতের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না! তোমার বাড়ি থেকে এলএসি পৌঁছতে মাত্র এক দিন লাগে। যাও বাঘিনী। জয় হিন্দ।’ কঙ্গনা পাল্টা ট্যুইটে বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি সীমান্তে যাচ্ছি। আপনিও অলিম্পিক্স-এ চলে যান সামনের বছর, দেশের গোল্ড মেডেল দরকার...আপনি তো দেখছি রূপকেও আক্ষরিক অর্থ খুঁজছেন। কবে থেকে এত নির্বোধ হয়ে গিয়েছেন? আমরা যখন বন্ধু ছিলাম, তখন তো বেশ বুদ্ধিমান ছিলেন!’ এরপর অবশ্য চুপ করে থাকেননি অনুরাগও। তাঁর ট্যুইট, ‘তোমার জীবনটাই এখন রূপকের রূপ নিয়েছে!’ পরে আলাদা একটি ট্যুইটে উর্মিলা এবং অনুরাগের সঙ্গে কথার লড়াইর প্রসঙ্গ টেনে কঙ্গনা বলেন, ‘কখনও কোনও যুদ্ধ আমি নিজে থেকে শুরু করিনি। যদি তেমনটা কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি ট্যুইটার ছেড়ে দেব। আমি কখনও লড়াই শুরু করি না। তবে শেষ করি। ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন, কেউ যদি যুদ্ধ চায়, তাহলে প্রত্যাখান করতে নেই।’ ফলে আবার কেউ ট্যুইটে তাঁকে আক্রমণ করলে তিনি লড়তে পিছপা যে হবেন না, সে ইঙ্গিতও প্রকারান্তরে দিয়ে রাখলেন কঙ্গনা।