তবে শুধু মেয়েকে সত্যি নয়, নিজেদের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত বহু কথাই সানি খোলাখুলি বলে দিয়েছেন। কেন তাঁরা একটি মেয়েকেই দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সানি বলেন, বহু দিন ধরেই ড্যানিয়েলের বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁদের পরিবারে কোনও কন্যা সন্তান নেই।
এদিকে মুম্বই শহরতলির এক অনাথ আশ্রমে মাঝেমধ্যেই যেতেন সানি এবং তাঁর স্বামী। সেখানে গিয়ে এই তারকা দম্পতি দেখেছিলেন, সেখানকার লোকজনেরা অনাথ শিশুদের যথেষ্ট যত্ন করেন। প্রত্যেককে সঠিক পরিমাণের আহার, পড়াশোনা, জামা-কাপড়, সবকিছু দেওয়া হয়।
একদিন সেখানে গিয়েই সানির আচমকা মনে হয়, সেখান থেকে কোনও বাচ্চাকে দত্তক নিলে কেমন হয়। স্বামীর কাছে নিজের মনের কথা জানিয়েও ছিলেন সানি। ড্যানিয়েলও সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তখনই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেবেন তাঁরা। দত্তক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, সানি জানান প্রাথমিক পর্যায়ে সানি দত্তক সংক্রান্ত ফর্ম ফিলাপ করার পরই, তাঁদের অনাথ আশ্রমের সমস্ত শিশুকন্যার ছবি দেখানো হয়। নিশার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে সানির মনে হয়, এই তার বাচ্চা। তারপরই শুরু হয় আসল প্রক্রিয়া। পাঁচ থেকে ছ মাস লাগে নিশাকে তাদের বাড়িতে আনতে। সেইসময়টা তাঁদের মাঝেমধ্যেই খুব অস্থির লাগত, মনে হত তাঁরা নিশাকে হয়তো নিজেদের কাছে আনতে পারবেন না।
নিশার কেমন লেগেছিল প্রথম তাঁদের সংস্পর্শে এসে। সানি জানান, আগে ক্যামেরার সামনে কখনও আসেইনি নিশা। কিন্তু যেদিন থেকে দত্তক প্রক্রিয়া শুরু হল, সেদিন থেকে তাঁরা ক্যামেরায় নিশার প্রতিটি মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন। একটি বই রাখা হয়েছে, যেখানে নিশার সমস্ত কথা লেখা আছে। ছোট্ট নিশা বড় হলে, সানি তাকে সবটাই জানাবেন এবং দেখাবেন। এমনকি একথাও বলবেন, তার জন্মদাত্রী মা তাকে ফেলে দেয়নি, বরং ন মাস গর্ভে ধারণ করেছে। তারপর দত্তক নেওয়ার পর তিনি নিশার মা হয়েছেন। তাদের দুজনের সম্পর্ক আত্মার, সেকথাই নিশাকে বলবেন সানি।