মুম্বই: দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারের জীবন অবলম্বনে তৈরি হওয়া ছবির মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল না বম্বে হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি এন এম জামদারের বেঞ্চ বলেছে, সেন্সর বোর্ড যখন ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে, আদালতের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। ফলে আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।


মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা হাসিনা পার্কারের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি জনস্বার্থ মামলায় দাবি করেন, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মতো সংবেদনশীল বিষয়টি ছবিতে রয়েছে। ছবিটিতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের বোনকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা হয়েছে। ছবির সংলাপ জাতীয়তাবিরোধী ও সমাজবিরোধী। তাই ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু আদালত এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতিদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘ছবিটি মুক্তি পাওয়ার একদিন আগে কেন মামলা করা হল? আমরা কি সিবিএফসি-র উর্ধ্বে? সিবিএফসি নিশ্চয়ই সবদিক খতিয়ে দেখেই ছবিটি মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছে। আরও অনেকেই নিশ্চয়ই ট্রেলার দেখেছেন। কিন্তু কেউই মামলা করেননি। তাই আমরা শেষমুহূর্তে ছবিটির মুক্তি আটকে দিতে পারি না।’

হাসিনা পার্কারের প্রযোজকরাও জনস্বার্থ মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রযোজকদের আইনজীবী বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকে ছবিটির কাজ শুরু হয়। এ বছরের জুলাইয়ে ট্রেলার মুক্তি পায়। ইতিমধ্যেই বিদেশে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। তা সত্ত্বেও শেষমুহূর্তে ছবির মুক্তি আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে।