দু’সপ্তাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন রাহুল। শেষ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রায় ২,০০০ অনাবাসী ভারতীয়। তাঁদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘কীভাবে সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করতে হয়, সেটা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে এসেছে ভারত। হাজার হাজার বছর ধরে ভারতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকার ঐতিহ্য রয়েছে। এখন সেটা চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশে এমন একটি শক্তি রয়েছে, যারা বিভেদ তৈরি করছে। এটা দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে বিদেশে ভারতের বদনাম হচ্ছে।’
রাহুলের আরও দাবি, এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে তাঁর সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের কথা হয়েছে। প্রত্যেকেই ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানতে চেয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ভারত অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে কেন? বিদেশে ভারতের সুনাম বজায় থাকা জরুরি। কারণ, সারা বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। অনেক দেশের পরিস্থিতিই উত্তপ্ত। একুশ শতকে ভারতই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ দেখাতে পারে সারা বিশ্বকে। ১৩০ কোটি মানুষের একসঙ্গে অহিংস ও শান্তিপূর্ণভাবে সুখে থাকাই ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পদ। এর জন্য সারা বিশ্ব ভারতকে সম্মান জানায়। তাই দেশের এই সম্পদকে কোনওভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
রাহুল আরও বলেছেন, কংগ্রেসের আসল আন্দোলন ছিল অনাবাসীদের আন্দোলন। মহাত্মা গাঁধী ছিলেন অনাবাসী। জওহরলাল নেহরু ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ছিলেন। অম্বেদকর, পটেল, মৌলানা আজাদরা সবাই অন্য দেশ থেকে ভারতে গিয়ে দেশকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়রাই দেশের আসল শক্তি।