নয়াদিল্লি: শুক্রবার বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) মঞ্জুর করল মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুজ কেশওয়ানির (Anuj Keshwani)। তিন বছর আগে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুজকে।
মাদক মামলায় গ্রেফতার অনুজের জামিন মঞ্জুর
২০২০ সালের ১৪ জুন, যখন গোটা দেশ করোনার কারণে লকডাউনে গৃহবন্দি তখনই, মুম্বইয়ে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছিল 'নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো' (NCB)। ৩১ বছর বয়সী অনুজ কেশওয়ানি, মুম্বইয়ের খারের বাসিন্দাকে, মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। অভিযোগ ওঠে, প্রয়াত অভিনেতাকে মাদক সরবরাহ করতেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ লোকজন, যা থেকে বিশাল মাদকজালের তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
জামিন মঞ্জুরের সময় বিচারপতি এমএস কার্ণিক বলেন, 'আন্ডারট্রায়াল হিসাবে আবেদনকারীকে দীর্ঘায়িত কারাবাস, এবং এই সত্যের সঙ্গে যে ট্রায়ালটি শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে তা আমার পক্ষে সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ ধারা ৩৭-এর কঠোরতা কাটিয়ে উঠতে পারে।'
নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স (NDPS) অ্যাক্টের ধারা ৩৭ অনুযায়ী, কোনও আসামীর জামিন শুধুমাত্র তখনই মঞ্জুর করা যেতে পারে যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে অভিযুক্ত এই ধরনের অপরাধের জন্য দোষী নন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে এবং জামিনে থাকাকালীন কোনও অপরাধ করার সম্ভাবনা না থাকে।
এই মামলায় মোট ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়, যাঁদের অন্যতম অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই সৌভিক। রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই ও আরও ৩৩ জনকে বিভিন্ন আদালত জামিন দিয়ে দিয়েছে আগেই, একমাত্র অনুজ কেশওয়ানিই এতদিন হেফাজতে ছিলেন তাঁর বাড়ি থেকে কমার্শিয়াল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয় এনসিবি তল্লাশির সময়।
কেশওয়ানির আইনি প্রতিনিধি, অ্যাডভোকেট আয়াজ খান এবং গায়ত্রী গোখলে, উল্লেখ করেন, '১৬০ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিচার শেষ হতে অনেক সময় লাগতে পারে।' খান তল্লাশি পরোয়ানা ছাড়াই পরিচালিত অভিযান এবং বাজেয়াপ্ত করার পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলিও নির্দেশ করেছিলেন, যদিও আদালত এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন