কলকাতা: শনিবার মা মারা গিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, শ্যুটিং ফ্লোরে হাজির কাঞ্চন মল্লিক। বন্ধু কাঞ্চনের এই পেশাদারিত্বকে কুর্নিশ করলেন রুদ্রনীল ঘোষ। ফেসবুকে একটি ছোট্ট পোস্টে রুদ্রনীল তাঁর সতীর্থ কাঞ্চনের পেশাদারিত্ব নিয়ে লিখলেন, “একজন অভিনেতা, কাঞ্চন মল্লিক। যার মা কাল পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন হাউহাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ল আমার কাঁধে মাথা রেখে। কিন্তু জীবিকার কারণে, মানুষকে হাসাবার দায়িত্বে সে আজ সকালে শ্যুটিং ফ্লোরে। যন্ত্রণা ভোলার জন্য ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। হ্যাঁ, অভিনেতারা ঠিক সহজ মানুষ নয়। হয়ত অন্য কিছু।”



রুদ্রনীলের এই পোস্টেই কাঞ্চনের উদ্দেশে প্রবল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেই খরাজ মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “আজকেই খবরটা পেলাম। অবশ্যই দুঃসংবাদ। আশা করি কাঞ্চন সামলে উঠবে। এমন দিন আমারও গেছে। তোরাও জানিস। শিল্পী হতে গেলে অনেক কিছু অন্তর্লীন করতে হয়। ভালো থাক।” এই বার্তালাপেই আরও স্মৃতিমেদুর হয়ে পরেন রুদ্রনীল। নিজের মাতৃবিয়োগের কথাও ফেসবুক কমেন্টে উল্লেখ করেন রুদ্র। তিনি লিখেছেন, “হ্যাঁ দাদা, ২০১১ সপ্তমীর রাত, স্টেজ শো যাচ্ছি। প্যান্ডেলে আমার অপেক্ষায় মানুষজন। শিয়ালদা ব্রিজ ক্রস করার সময় খবর এলো, মা আর নেই। তবুও, হাসিমুখে সেই অনুষ্ঠান শেষ করে হাওড়া যেতে হয়েছিল। এটাই জীবন। কান্না তো পরে।”



প্রসঙ্গত, কাঞ্চন মল্লিকের মাতৃবিয়োগের পর রুদ্রনীলের এই পোস্ট দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ মাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই খবর সোশ্যাল মিডিয়াও ভাইরাল হয়ে যায়। শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পর অশৌচের মধ্যেই দাড়ি কামাতে হয়েছে কাঞ্চন মল্লিককে। এমনকি চরিত্রের প্রয়োজনে গলায় পরতে হয়েছে রুদ্রাক্ষের মালাও। অশৌচের মধ্যেও পেশার প্রয়োজনে তাঁকে যা যা করতে হয়েছে তার জন্য সদ্য প্রয়াত মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কাঞ্চন। অভিনেতার এই পেশাদারিত্ব এবং দৃঢ়চেতা মনোভাব দেখে অনুরাগীরাও তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।