মুম্বই: গত মাসেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার। এবার সেই মামলায় পুলিশকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।


৩ ডিসেম্বর এই মামলায় জাভেদ আখতারের বয়ান রেকর্ড করেছিল আদালত। শনিবার জাভেদ আখতারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন জানান গীতিকারের আইনজীবী।


আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর জুহু পুলিশকে আদালত নির্দেশ দেয় অভিযোগের তদন্ত করে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে। আইনজীবী নিরঞ্জন মুন্দারগির মাধ্যমে গত ২ নভেম্বর অভিনেত্রী কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় মানহানির জন্য শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেন গীতিকার।


জাভেদ আখতারের অভিযোগ, একটি টেলিভিশন শোয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কঙ্গনা অভিযোগ তোলেন হৃতিক রোশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য কঙ্গনাকে চাপ দিচ্ছেন তিনি।


এমনকি মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হলে কঙ্গনার নিজের জীবন নিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প অভিনেত্রীর কাছে থাকবে না বলেও তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাভেদ আখতার। অর্থাৎ কঙ্গনার অভিযোগ, জাভেদ আখতার তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছেন।


কঙ্গনার ওই ধরনের মন্তব্যের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন জাভেদ আখতার। তাঁর মোবাইল ভরে উঠছে ঘৃণামূলক বার্তায়। এমনকি ফোনও আসছে।


এর ফলে তাঁর সামাজিক সম্মান, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে কঙ্গনার এই কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার।


তবে কঙ্গনাকে ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আস্বাভাবিক মৃত্যুর পর মুখ খুলেছেন বহুবার যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।


মাদক যোগ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। কখনও আবার দিল্লি সীমানায় চলা কৃষক আন্দোলন নিয়েও তির্যক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। কৃষক আন্দোলেন যোগ দেওয়া এক প্রৌঢ়ার সঙ্গে ’শাহিনবাগের দাদি’ বলে পরিচিত বিলকিস বানোকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন।


শুধু তাই নয়, এমন আন্দোলনকারীদের ১০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছিলেন। কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানানো দিলজিৎ দোসাঞ্জকেও বিঁধেছিলেন কঙ্গনা। ফলে রাজনীতি হোক বা বলিউড-- ফোঁস করা কঙ্গনার স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করেন অনেকে।