কলকাতা: টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, শিন, ক্ল্যাশ অব কিংস, হ্যালো, লাইক সহ মোট ৫৯টি চাইনিজ অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। লাদাখের গালওয়ানে লাল ফৌজের আগ্রাসন এবং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহিদ হওয়ার ঘটনার পরই চিনা সংস্থাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় মোদি সরকার। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। তবে একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘হঠকারী’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।


বুধবার, স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়ে ইস্কনের ৪৯তম রথযাত্রা উৎসবে সামিল হয়েছিলেন নুসরত। সেখানেই মোদি সরকারের চিন অ্যাপ ব্যানের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে শোনা যায় তাঁকে।


নুসরত বলেন, “আমি একজন পারফর্মার, এন্টারটেইনার। বাকি সোশ্যাল মিডিয়ার মতো টিকটকও আমার কাছে স্রেফ একটি প্লাটফর্মই ছিল। অ্যাপ বন্ধ করে দিয়ে অনেক তরুণদের রোজগার বন্ধ করে দেওয়া হল।” মোদি সরকারের কাছে অভিনেত্রী সাংসদের প্রশ্ন, “যে তরুণরা টিকটকের মাধ্যমে রোজগার করত, তাঁরা বেকার হয়ে গেল। তাঁদের নিয়ে সরকার কী ভাবছে? এটা একেবারে হঠকারী সিদ্ধান্ত। একরাতের মধ্যে নোটবন্দি করে দিয়ে যেমন মানুষকে সমস্যায় ফেলেছিল এখনও তাই করা হল।” আরও একধাপ এগিয়ে বসিরহাটের সাংসদের প্রশ্ন, কেন্দ্র সরকার কেন বিকল্প পরিকল্পনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত নিল? অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেই চিনা আগ্রাসন কমে যাবে না, প্রয়োজন বিকল্প পরিকল্পনার, মত নুসরত জাহানের।





অন্যদিকে টিকটক ব্যানের সিদ্ধান্তকে একশো শতাংশ সমর্থন করলেন বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। টিকটক ছিল অসবর যাপনের মাধ্যম। পুরনো গানে লিপ্সিং করার মজা উপভোগ করতেন ঠিকই, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রের  সিদ্ধান্তের পাশেই রয়েছেন এই অভিনেতা।



গালওয়ানের ঘটনার পর থেকে আর টিকটক করেন না তিনি। ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের সাফ কথা, “দেশ আমার কাছে সবার আগে, প্রয়োজন হলে আরও বড় স্বার্থও ত্যাগ করতে রাজি”।