কলকাতা: বাড়িতে থাকলেও, এখনও কড়া পর্যবেক্ষণে থাকতে হচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)-কে। বাড়িতে নিয়মিত দেখতে আসছেন চিকিৎসক, সর্বক্ষণের জন্য রয়েছেন হাসপাতালের কর্মচারী ও। গতকালই বাড়ির সামনে ভিড় আর ছবি তোলার চেষ্টা দেখে ফুঁসে উঠেছিলেন ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওল (Sunny Deo)। বাড়ির বাইরে এসে, তিনি হাত জোড় করে অনুরোধ করেন পাপারাৎজিরা যাতে ছবি না তোলেন আর সাধারণ মানুষ যাতে বাড়ির বাইরে ভিড় না জমান, সেই জন্য। আর আজ, ফাঁস হয়ে গেল ধর্মেন্দ্রর অন্দরমহলের ভিডিও!

Continues below advertisement

সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। অচৈতন্য, বিবিধ সাপোর্ট সিস্টেম দিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি দেওল পরিবারের মানুষদের ও দেখা যাচ্ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। বিছানার চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র ছেলে ও মেয়েরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও। তবে প্রিয় অভিনেতাকে এই অবস্থায় দেখে রুষ্ট অনেকেই। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই প্রশ্ন ওঠে, এমন ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় কে ভাইরাল করলেন? কেনই বা এই কাজ করা হল। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালেরই এক কর্মীকে। জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র হাসপাতালে থাকাকালীন, তাঁর ঘরেই ডিউটিতে ছিলেন ওই এমপ্লই। তিনিই গোপনে ধর্মেন্দ্রর ও তাঁর পরিবারের ব্য়ক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে ছড়িয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই আপত্তিকর ভিডিও তোলার অভিযোগে ওই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালকেও জানানো হয়েছে। তাঁরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। 

Continues below advertisement

আজ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের তরফ থেকে এক চিকিৎসককে ধর্মেন্দ্রর বাড়ি আসতে দেখা যায়। তবে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেই সময়ে ধর্মেন্দ্রর অবস্থা গুরুতর ছিল। সেই সময়ে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ। কিন্তু নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। বাড়িতে এসে তাঁকে পরীক্ষা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর ঘরে ভিড় জমানো বারণ। সংক্রমণের ভয়ে সবাইকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না । 

 পাপারাৎজি ও অনুরাগীদের সমানে হাত জোড় করে তিনি বলেন, 'আপনাদের বাড়িতেও তো বাবা মা রয়েছেন। আপনাদের ও তো সন্তান রয়েছে। লজ্জা করে না আপনাদের?' প্রসঙ্গত, ধর্মেন্দ্রর পরিবার আপাতত খুব মানসিক অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। হেমা মালিনী আগেই জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র যে সময়ে হাসপাতালে ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর সন্তানেরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। অনেক দায়িত্ব নিতে হয়েছে হেমা মালিনীকেও। তবে এখন বাড়ি ফিরেছেন ধর্মেন্দ্র, এখানেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।