কলকাতা: 'চিক ফ্লিক সিজন টু' ইতিমধ্য়েই দর্শকের হিটলিস্টে। কেমন ছিল এই ওয়েব সিরিজ তৈরির গল্পটা? এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডায় জানালেন জয়দীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিনেত্রী শাওলি চট্টোপাধ্য়ায়।


কমেডি-থ্রিলার ঘরানার সিরিজ 'চিক ফ্লিক সিজন ওয়ান'-ও একইভাবে পছন্দ করেছিল সিনেপ্রেমী দর্শক। এবার 'চিক ফ্লিক সিজন টু'-এ গল্প মোড় নিয়েছে নতুন দিকে। এই সিজনে দেখতে পাওয়া যাবে একাধিক নতুন মুখকেও। 


এবার একটু চোখ রাখা যাক গল্পের দিকে।
চিক ফ্লিক সিজন ওয়ানের থেকে এ গল্প এগিয়ে যায় আ-রও এক বছর। তনয়কে ছেড়ে চলে গেছে জিনিয়া, মন্টুকে ছেড়ে বিয়ে করে নিয়েছে সোমা, বাম্পিকে ছেড়ে অভিনয় করতে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছে স্যুইটি। এই নিরস জীবন থেকে আনন্দ খুঁজে নিতে ওরা অন্যান্যদিনের মতোই একদিন হাজির হয় ‘বাজির ওয়াও মাস্তানি’ পাবে। যেটি আসলে জুয়ার ঠেক। জুয়ার গৌরব রায়বাহাদুর খেতাব পাওয়া পরিবারের ছেলে মন্টু লুডোয় বাজি রেখে পঞ্চাশ লাখ হারে এবং মাস্তানির খপ্পরে পড়ে এই চারজন। শর্ত , হয় পঞ্চাশ লাখ ফেরত নাহলে বিখ্যাত বিজ্ঞানী চন্দ্রবিন্দুর যুগান্তকারী আবিস্কার অমৃত’র ফর্মুলা থাকা হার্ড ড্রাইভ এনে দিতে হবে। মাখনের হাত ফস্কে যা এই মুহুর্তে রয়েছে মেডুসার কাছে এবং যা নিয়ে ডিল হতে চলেছে স্মাগলিং ক্যুইন মেডুসার আর ড্রাগ মাফিয়া জ্যেঠুর।ডিল ভেস্তে দিয়ে সেই ফর্মুলা এনে দিতে হবে মাস্তানিকে। ফলে, মন্টু-তনয়-বাম্পি মিলে আবারও জড়িয়ে পড়ে মেডুসার সঙ্গে টক্করে। জ্যেঠু আর মেডুসার ডিল ভেস্তে দিয়ে কোকেন আর সেই অমৃতর ফর্মুলা থাকা হার্ড ড্রাইভ নিয়ে গা ঢাকা দেয় তারা। সঙ্গে এসে পড়ে জিনিয়াও। ঘটনা চক্রে জিনিয়া কীভাবে যোগ দিলো সে এক রহস্য! যার উত্তর রয়েছে এই সিরিজেই। তিন পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যে ফেঁসে গিয়ে বাম্পি মন্টু তনয়ের বাবা, দাদু এবং মা কিডন্যাপড হয়ে যায় মাস্তানির দ্বারা। জ্যেঠুর মেয়েকে কিডন্যাপ করে বসে মেডুসার দুই শাগরেদ গজা ও লিমকা। 
মাস্তানি, জ্যেঠু এবং মেডুসার দিক থেকে  সাংঘাতিক সমস্ত হুঁশিয়ারি আসতে থাকে, মহা সংকটে পড়ে ওরা। কোনও উপায় না পেয়ে একে একে সবার সঙ্গে দেখা করবে বলে ঠিক করে তারা। একটি বিশেষ কায়দায় অমৃতর ফর্মুলাকে সুরক্ষিত করে তারা, যাতে কোনোভাবেই এই লোকগুলোর হাতে না পড়ে সেই বিখ্যাত আবিস্কার। কী সেই কায়দা?  উত্তর রয়েছে সিরিজেই।