হৃত্বিক অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে কঙ্গনার নাম উল্লেখ করেননি।তবে ট্যুইটারে যে বিবৃতি হৃত্বিক পোস্ট করেছেন, তাতে স্পষ্ট যে, দুজনের মধ্যে প্রকাশ্যে দীর্ঘস্থায়ী বাকযুদ্ধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
হৃত্বিক লিখেছেন, তিনি চান না তাঁর আগামী সিনেমা ঘিরে কোনও রকম অনভিপ্রেত পরিস্থিতির তৈরি হোক । এজন্য ‘সুপার ৩০’ সিনেমার মুক্তির দিন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। সিনেমা ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ হওয়া সত্ত্বেও প্রযোজকদের মুক্তির দিন বদল এবং পরবর্তী উপযুক্ত দিন যত শীঘ্র সম্ভব ঘোষণার জন্য নির্মাতাদের তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বক্স অফিসে তাঁদের সিনেমার সংঘাত নিয়ে হৃত্বিক ও কঙ্গনার মধ্যে আরও একবার বিবাদ দানা বেঁধেছিল। কারণ, হৃত্বিকের ‘সুপার ৩০’ ও কঙ্গনার ‘মেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ একইদিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আগামী ২৬ জুলাই দুটি সিনেমার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
এই সংঘাত নিয়েই কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি অভিযোগ করেছিলেন যে, এই সংঘাতের জন্যই হৃত্বিক তাঁর পিআরের মাধ্যমে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।
হৃত্বিক তাঁর সিনেমার মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণার পর কঙ্গনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হৃত্বিক রোশন, মধু মান্টেনা ও একতা কপূর যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, হৃত্বিক ‘সুপার ৩০’-র মুক্তি দিন পিছিয়ে দেবেন এবং আগামী ২৬ জুলাই একতা নিয়ে আসবেন ‘মেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’। এক সপ্তাহ আগে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এ সব হৃত্বিক কেন লিখেছেন, তা তাঁর অজানা বলে মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেছেন, ‘মেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ সোলো রিলিজ পাচ্ছে , এজন্য তিনি খুশি। আর এজন্য সিনেমার প্রযোজক একতা কপূরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনা। ‘পুরুষশাসিত’ ইন্ডাস্ট্রিতে এভাবে নিজের অবস্থান বজায় রাখাটা খুবই কঠিন ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। এজন্য একতার সাহস ও ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে কঙ্গনা ও হৃত্বিকের সম্পর্কের তিক্ততা কারুর অজানা নয়। ২০১৬-তে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন যে, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হৃত্বিক তা অস্বীকার করেন। তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।