কলকাতা: অনস্ক্রিন থেকে অফস্ক্রিন, দু জায়গাতেই সমান জনপ্রিয় এই জুটি। বড়পর্দায় অভিষেকও হয়েছিল একইসঙ্গে, একই ছবিতে। কৌশানি মুখোপাধ্যায় ও বনি সেনগুপ্ত। যাঁদের জীবনে প্রেম রয়েছে, খুনসুটি রয়েছে, রয়েছে মান অভিমানও। তবু একে অপরকে চোখে হারান তাঁরা। প্রেমের সপ্তাহে কী করছেন এই জুটি? এবিপি আনন্দর সঙ্গে গল্পে মজলেন কৌশানি।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে কৌশানি-বনির নতুন ছবি ‘তুমি আসবে বলে’। রিয়েল লাইফ প্রেমিকের সঙ্গে রিল লাইফ শ্যুটিং-এর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? কৌশানি বলছেন, ‘আমি আর বনি এর আগেও শ্যুটিং করেছি একসঙ্গে। ‘তুমি আসবে বলে’-এর অনেকটাই শ্যুটিং হয়েছে বেনারসে। ভীষণ গরম ছিল ওখানে। আর প্রত্যেকবার কস্টিউম বদলানোর জন্য আমাদের ঘাটের অতগুলো সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হত।’ অফ ক্যামেরায় বোঝাপড়ার ম্যাজিকটাই কি অন ক্যামেরায় ফুটে ওঠে এই জুটির ক্ষেত্রে? ‘বাস্তবের প্রেমিকের সঙ্গে অভিনয় করার ভালো খারাপ দুই দিকই আছে। একদিকে যেমন দুজনের মধ্যের বোঝাপড়া, টাইমিং-র জন্য কাজ করতে সুবিধা হয়, অন্যদিকে সমস্যাও রয়েছে প্রচুর।’ যেমন? কৌশানি হাসতে হাসতে বললেন, ‘যেমন ধরুন খুব ঝগড়া হল। একেবারে কথা বন্ধ। সেই সময়ে রোম্যান্টিক শ্যুট করতে একদম ইচ্ছা করে না।’ এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে নাকি? ‘অনেকবার। ‘তুমি আসবে বলে’-তে ‘কী করে ভুলে থাকি তোকে’ গানটার শ্যুটের সময় আমার আর বনির প্রচন্ড ঝগড়া, মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। পর্দায় দেখে অবশ্য কেউ কিচ্ছু বুঝতে পারবেন না।’ ঝগড়া হলে কে আগে অভিমান ভাঙায়? ‘বেশিরভাগ সময়ই বনি,’ স্বীকারোক্তি কৌশানির। বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি মেয়েদের সবসময়ই স্পেশাল ফিল করানো উচিত। সেটা মেয়েদের প্রাপ্য। তবে আমিও কখনও কখনও বনির মান ভাঙাই।’
প্রেমের সপ্তাহের প্রত্যেকদিন নিজেদের মতো করে উপভোগ করবার সুযোগ হয় না বনি-কৌশানির। তবে রোজ ডে বা চকোলেট ডে-তে শো করতে গিয়ে অনেক উপহার পাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
সদ্য রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন কৌশানি। হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন? নায়িকা বললেন, ‘যখন বিভিন্ন জায়গায় শো করতে বা শ্যুটিং-এ যাই, মানুষদের সঙ্গে আলাপ হয়, মনে হয় সবার জন্য যদি ভালো কিছু করতে পারতাম। মানুষের জন্য কাজ করতেই রাজনীতিতে আসা।’
বনির সঙ্গে সংসার পাতার পরিকল্পনা কবে? ‘২০২৩ নাগাদ ইচ্ছা আছে,’ উত্তর কৌশানির। ভ্যালেন্টাইনস ডে তে কী পরিকল্পনা রয়েছে? কৌশানি বললেন, ‘ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা হবে না। হয়তো কলকাতার মধ্যেই কোনও একটা সুন্দর জায়গায় কাটাব দিনটা। আর রাতে ক্যান্ডেললাইট ডিনার। পর্দার বাইরেও আমি ভীষণ ফিল্মি।’ তাহলে ১৪ তারিখের ঠিকানা কোথায়? ‘জানি না,’ কৌশানির গলায় একটু অভিমান। কেন? ‘বনির সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। কাজের জন্য একে অপরকে সময় দিতে পারছি না, সেটা নিয়ে। বনি মান ভাঙালে তবেই ভ্যালেন্টাইনস ডে তে দেখা হবে।’