নয়াদিল্লি:  শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত স্বীকার করলেন, তিনি একজন বড় দেশভক্ত। তিনি মনে করেন এবং বিশ্বাস করেন, তাঁর ব্যক্তিগত উন্নতির সঙ্গে দেশের উন্নতির সরাসরি যোগ রয়েছে। তবে এরসঙ্গে তিনি একথাও বলতে ভোলেননি, তিনি কোনও ধর্মে বিশ্বাস করেন না। তাঁর একমাত্র পরিচিতি তিনি ভারতীয়।

যখন তাঁর বয়স কম ছিল তখন তিনি জীবনে কিছু করে দেখানোর স্বপ্ন দেখতেন। এখন তিনি জীবনে অনেকটা পথ এগিয়ে বিশ্বাস করেন, দেশের উন্নতি হলেই, তবে তাঁর উন্নতি সম্ভব। নিজের উন্নতির জন্যে প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন রোল মডেল থাকা উচিত, মত কঙ্গনার। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজের, তাঁর আদর্শের, সাফল্যের কাহিনীর অন্ধ ভক্ত। মোদীর ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে বলতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, তাঁর জয় থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, এদেশে গণতন্ত্রই জিতেছে।

এদিকে সাংস্কৃতিক দুনিয়ায় সম্প্রতি পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল,  সেপ্রসঙ্গে কঙ্গনার মত, দেশের সীমান্ত যখন শত্রুপক্ষের আক্রমণে বিপর্যস্ত, যখন সেখানে দিনরাত দেশের জন্যে লড়ে শহিদ হচ্ছে সেনা জওয়ানরা, তখন সাংস্কৃতিক জগতে কীভাবে সেই দেশের শিল্পীরা কাজ করতে পারেন?

তারপরই দেশভক্ত কঙ্গনার মন্তব্য, মার্কিনিরা যদি তাদের জাতীয় সঙ্গীতের সময় উঠে দাঁড়াতে পারে, তাহলে ভারতীয়রা নয় কেন?  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে যদি ভারতীয়রা কিছু শিখতেই চায়, তাহলে ভাল জিনিষটাই শিখুক, মত বলিউডের আসল কুইনের।

তাঁর দেশের সেই সমস্ত মানুষের ওপর ভীষণই রাগ, যারা কিছু না করে শুধু দেশের বদনাম করে। ভারত খুব নোঙরা, অপরিষ্কার দেশ বলে বেড়ায়। এধরনের মন্তব্য বিদেশে গিয়ে না করে, নিজের দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রত্যেক দেশবাসীরই এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা।