মুম্বই: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ। খেলা, সিনেমা-সিরিয়ালের শ্যুটিংও বন্ধ। এতেই বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাদেরই একজন বলিউডের স্পটবয় রাকেশ দুবে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি কীভাবে সংসার চালাবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না।


তিন দশক ধরে স্পটবয় হিসেবে কাজ করছেন রাকেশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সেটে থাকি। আমাদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে কাজ দেওয়া হয়। কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ক্রুদের দেখাশোনা করে, কয়েকজন আবার সেটে খাবার পৌঁছে দেয়। আমরা আলো লাগানো, সেট তৈরির কাজেও হাত লাগাই। স্পটবয়রা মাসে ১৫ দিন কাজ পায়। আমার রোজগার মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই প্রোডাকশন হাউসগুলো কাজ বন্ধ করে দেয়। তারপর লকডাউন জারি হতে আমরা কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে আছি। এই বিরতি আমরা কেউ চাই না। এটা আমাদের সাধ্যেরও বাইরে। আমার স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। আমার যে সামান্য সঞ্চয় ছিল, সেটা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপর কী করে সংসার চালাব জানি না।’

রাকেশ আরও জানিয়েছেন, ‘চার বছর আগে মেট্রোর কাজের জন্য আমার বাড়ি ভাঙা পড়ে। আমি এখন বান্দ্রায় ভাড়াবাড়িতে থাকি। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। ফলে আমার অর্ধেক বেতন বাড়িভাড়া দিতেই চলে যায়। এখন আমার কোনও রোজগার নেই। ফলে কী করব জানি না। আমি টাকা চেয়ে মরিয়া হয়ে দিল্লিত হরিন্দর সিক্কাকে ফোন করেছিলাম। তিনি আমাকে সাহায্য করেন। কিন্তু আমার আবার কাজ শুরু করা জরুরি।’

বলিউডের কর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সলমন খান, বরুণ ধবন, অজয় দেবগনের মতো তারকারা। যশ রাজ ফিল্মস, রোহিত শেট্টি ফিল্মসও রাকেশের মতো কর্মীদের সাহায্য করছে। কিন্তু রাকেশ জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পাননি। এমনকী, রেশনও দেওয়া হয়নি তাঁকে।

সলমনের সাহায্যের বিষয়ে রাকেশ বলেছেন, ‘কয়েকজন আমাকে বলেছেন, সলমন খান আমাদের সাহায্য করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। হয়তো সেই প্রক্রিয়া চলছে। আমি হয়তো টাকা পাব। সামনে কঠিন দিন। কী করব জানি না, তবে আমার বিশ্বাস ঈশ্বর সাহায্য করবেন।’