মুম্বই:  ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘মাই নেম ইজ খান’-এর মতো একাধিক হিট ছবিতে কর্ণ জোহর-কাজল একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁদের বন্ধুত্ব বলিউডে সকলের কাছে ছিল একটা দৃষ্টান্ত। আর সেই বন্ধুত্বেই কালো মেঘের ছায়া। আর সেকথা নিজে মুখে জানিয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক কর্ণ জোহর স্বয়ং তাঁর আত্মজীবনী ‘অ্যান আনসুইটেবল বয়’-তে।

ঘটনার সূত্রপাত বহুদিন আগেই। কিন্তু সম্প্রতি কর্ণের ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ যখন অজয় দেবগনের ছবি ‘শিবায়’-এর সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পায় তখনই এই বিবাদ আরও খারাপ আকার ধারণ করে। অজয় কর্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তিনি নাকি স্বঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক কমল আর খানকে ঘুষ দিয়েছেন ‘শিবায়’-এর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার করার জন্যে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেন কমল আর খান। কিন্তু সম্পর্কে ভাঙন তখনই ধরে যায়। পরে যখন কাজল তাঁর স্বামীর সেই অভিযোগের সমর্থনে টুইটে ‘শকড’ লিখে প্রতিক্রিয়া দেন, তখনই কাজল-কর্ণের সম্পর্কের শেষ পেরেক পড়ে যায়। সেই অভিযোগ কাজল বিশ্বাস করেছেন দেখে আরও বেশি আঘাত পান বলিউডের এই বিখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক।

তিনি নিজের আত্মজীবনীতে এই সম্পর্ক নিয়ে যা লিখেছেন, তা অনেকটা এই রকম



এই দুই প্রিয় বন্ধুর মধ্যে ঠিক কী হয়েছিল সেবিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও, তাঁদের সম্পর্কের কখন কী স্ট্যাটাস ছিল সেকথা খোলাখুলিই লিখেছেন কর্ণ



কর্ণের এই ঘুষ দেওয়ার খবর তখনই প্রকাশ্যে আসে যখন অজয় দেবগণের ম্যানেজার এবং কেআরকে-র টেলিফোনের কথোপকথন সামনে আসে।



তবে এই পুরো ঘটনায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন কর্ণ, সেটা তাঁর লেখা থেকেই স্পষ্ট



তবে ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’-এর একটি ডায়লগ আজ খুবই মনে পড়ছে ‘বাট সি ইজ ইওর বেস্ট ফ্রেন্ড ইয়ার’! বন্ধুত্বের মাঝে ‘কভি খুশি কভি গম’ আসতেই পারে, কিন্তু এভাবে 'আলবিদা' বলা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। তাই সকলেই চান এই সম্পর্কের কালো মেঘ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে যাক।