কলকাতা: পোলো খেলতে খেলতে আচমকাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া.. করিশ্মা কপূরের (Karishma Kapoor) প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কপূরের (Sunjay Kapur) মৃত্যুর খবর এখনও যেন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সুস্থ স্বাভাবিক একটা মানুষ দুপুরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) নিয়ে। কিন্তু তাঁর কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সঞ্জয়। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর?
চিকিৎসকেরা বলছেন, হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলছেন অন্য কথা। যাঁরা সঞ্জয়ের মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা বলছেন, সঞ্জয় খেলতে খেলতে হঠাৎ বলে ওঠেন, 'আমার মনে হয় আমি কিছু একটা গিলে ফেলেছি'। এই একটা কথাই শেষবারের মতো বলেছিলেন সঞ্জয়। এরপরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অনেক প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, সঞ্জয় খেলতে খেলতে একটি মৌমাছি গিলে ফেলেছিলেন। এরপরেই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
সদ্যই সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল শেঠ দাবি করেছেন, দিব্যি পোলো খেলছিলেন সঞ্জয়। হঠাৎ একটা মৌমাছি নাকি উড়ে এসে তাঁর গলায় ঢুকে যায়। শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। যদিও সুহেল শেঠের এই দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এবিপি লাইভ বাংলা। সঞ্জয়ের অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হৃদরোগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, এই সুহেল শেঠই প্রথম সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন।
২০০৩ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিবাহ হয়েছিল। ২০১৬ সালে লম্বা আইনি লড়াইয়ের পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এখন ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আলাদাই থাকছিলেন করিশ্মা। অন্যদিকে সঞ্জয় বিয়ে করেছিলেন মডেল পিয়া সচদেবকে। সুখী দাম্পত্য ছিল তাঁদের। তবে সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আর বিবাহ করেননি করিশ্মা কপূর। বৃহস্পতিবার দুপুরেই আমদাবাদে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক প্লেন দুর্ঘটনার কথা শুনে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট ও করেছিলেন সঞ্জয় কপূর। কিন্তু তখন সম্ভবত তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি যে আমদাবাদ ফ্লাইট দুর্ঘটনার দিনটি তাঁর জীবনেরও শেষ দিন হবে।
আমদাবাদ ফ্লাইট দুর্ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয় কপূর লিখেছিলেন, 'ভয়াবহ খবর! দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আমদাবাদে ভেঙে পড়েছে। যে সমস্ত পরিবার এই ঘটনায় তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য কেবল প্রার্থনা। এই কঠিন সময়ে, তাঁরা যেন শক্ত থাকেন।'