Ahmedabad Plane Crash: বৃহস্পতিবার ১২ জুন টেক অফের পরেই ভেঙে পড়েছিল আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। আর সেই 'অভিশপ্ত' বিমানেই সওয়ার হয়েছিলেন ২৬ বছরের ভাবিক মাহেশ্বরী। দুর্ঘটনার ২ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল ভাবিকের। সাধারণ ভাবে রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরেছিলেন ভাবিক। কাজের সূত্রে পাড়ি দিতে হয়েছিল লন্ডনে। কথা ছিল দেশের ফেরার পর গ্র্যান্ড রিসেপশন হবে। ছেলের বিয়ে অনুষ্ঠান ধুমধাম করে করার পরিকল্পনা করেছিলেন ভাবিকের বাবা-মা। কিন্তু তা আর হবে না। সপ্তাহ ২ আগেই ভদোদরায় ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন ভাবিক। সেই সময়েই পরিবারের লোকেরা ঠিক করেছিলেন তাঁর বিয়ে দেবেন। এরপরই ভাবিকের 'কোর্ট ম্যারেজ' হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে লন্ডনেই থাকতেন ভাবিক। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ শেষবার বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল ভাবিকের। তরুণের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে বলেছিল সব ঠিকমতো হয়ে গিয়েছে। এবার প্লেন ওড়ার পালা। বাবাকে চিন্তা করতে বারণ করেছিলেন ভাবিক। বলেছিলেন তিনি বাড়িই ফিরছেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে সেখানেই চাকরি করতেন ভাবিক। বাবার সঙ্গে কথোপকথনের ৩০ মিনিটের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে ভাবিকের জীবনে। ভদোদরার বাসিন্দা মাহেশ্বরীর পরিবারের জীবনে নতুন খুশি এসেছিল মাত্র কয়েকদিন আগেই। সকলের আদরের ভাবিকের বিয়ে হয়েছিল। তারপরেই এমন বিপর্যয়ের খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে মাহেশ্বরী পরিবারের সকলে। 

এবার ভদোদরায় বাড়ি আসার পরিবারের সকলে বলেছিলেন, বিয়ে হলে তবেই ভাবিক ফিরতে পারবেন। পরে লন্ডন যাবেন ভাবিকের স্ত্রী। পরিবারের কথা মেনেই ১০ জুন রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরে নেন ভাবিক মাহেশ্বরী। বৃহস্পতিবার ভাবিকের স্ত্রীও এসেছিলেন আমদাবাদে, ভাবিককে বিদায় জানাতে। বাড়ি ফেরার আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবর পান ওই তরুণী। 

পাইলট, ক্রু মেম্বার, যাত্রী-সহ ২৪২ জনকে নিয়ে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। একজন যাত্রী ছাড়া বাকি সকলেরই মৃত্য হয়েছে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায়। মৃত্যু হয়েছে ২ পাইলটেরই।