মুম্বই: গতবছর আজকের দিনেই প্রয়াত হন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। রেখে গিয়েছেন স্ত্রী সায়রা বানুকে (Saira Banu)। দিলীপ কুমারের প্রয়াণের পর মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েন সায়রা বানু। সেই সময়ে একাধিক মর্মস্পর্শী বার্তা দেন। আর অভিনেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে (Dilip Kumar Death Anniversary) হৃদয় বিদারক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী।


দিলীপ কুমারের মৃত্যুবার্ষিকীতে সায়রা বানু-


একসঙ্গে অনেকগুলো বছর পথ হেঁটেছেন দিলীপ কুমার ও সায়রা বানুষ তাঁদের বিবাহিত জীবনই ৫৬ বছরের। তাই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে বহু স্মৃতি। যা মনে থেকে যাবে আমৃত্যু। শুধু জীবনের অনেকগুলো বছরই একসঙ্গে কাটাননি দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু, পর্দাতেও তাঁরা একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বহু সময়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষৎকারে সায়রা বানু জানান যে, ইউসুফ সাহেবকে ছাড়া তাঁর জীবন রংহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা মানে পরিবারের সদস্যরা আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ওঁর (দিলীপ কুমার) জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছি। আমরা ওঁকে স্মরণ করেছি। প্রার্থনা করি, ও যেন স্বর্গের সেরা স্থানে শান্তিতে থাকে।'


আরও পড়ুন - Top Entertainment News Today: টলিউড থেকে বলিউড, বিনোদন জগতের সেরা ১০ খবর


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে দিলীপ কুমারের সম্পর্কে নানা চোখে জল আনা কথা বলেন সায়রা বানু। তিনি বলেন, 'আমি আমার মুখটা ঘুরিয়ে বালিশে গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ, আমি যখনই মুখ তুলে চোখ খুলি, তাহলেই দেখতে পাই, যেন মানুষটা (দিলীপ কুমার) আমার পাশে শুয়ে রয়েছেন। ঘরে যখনই সূর্যের আলো পড়ে, তার রশ্মিতে ওঁর গোলাপি গালে জেল্লা ছড়ায়। আমি বাস্তবটা জানি। এটাও জানি যে, এই সত্যিটার মধ্যে দিয়ে একদিন না একদিন আমাদের সবাইকেই যেতে হবে। যখন কেউ তাঁর জীবনের সবথেকে বিশেষ মানুষটাকে হারিয়ে ফেলে, তখন একমাত্র সেই জানে যে, সে কি হারিয়েছে। ঈশ্বরের শক্তির কাছে আমরা সকলেই অক্ষম। যন্ত্রণাদায়ক এই বাস্তবটা মেনে নেওয়া সেই মানুষটার কাছে কতটা কঠিন, তা একমাত্র সেই জানে।' ১৯৬৬ সালে দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সায়রা বানু। বিয়ের সময়ে দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪ বছর। আর সায়রা বানু ছিলেন ২২ বছরের। তিনি আরও বলছেন, 'এমন একটাও মুহূর্ত নেই যে, তিনি (দিলীপ কুমার) আমার চোখের সঙ্গে থাকেন না। বাস্তবটা জেনেও বলছি, তিনি সবসময়ই আমার চোখের সামনে থাকেন। যদি কেউ কখনও টিভি চালায়, আর টিভিতে যদি ওঁর সিনেমা চলে কিংবা গানও দেখায়, তাহলে আমার সমস্ত কর্মী দেখতে থাকেন। আমি এড়িয়ে যাই। কারণ, আমি আমার আবেগটা ধরে রাখতে পারব না। ওঁর কোনও ছবি দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারি না।'