মুম্বই: প্রথমে কঙ্গনা রানাওয়াত ও তারপর রঙ্গোলি চান্ডেল। দুই বোনই একাধিক অভিযোগ এনেছেন আলিয়া ভট্ট সহ ভট্ট পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু একের পর এক আক্রমণের পরেও মুখ খোলেননি আলিয়া। বরং জানিয়েছেন, তিনি চুপ করেই থাকবেন, দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবেন সদর্থক সব কিছুতে।


কিছুদিন আগে কঙ্গনা আলিয়া ও তাঁর প্রেমিক রণবীর কপূরকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেন, কেন দেশের কোনও ইস্যুতেই মুখ খোলেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে দুনিয়ার সামনে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেও জাতীয় ইস্যুতে কেন তাঁদের কোনও অবস্থান নেই। এরপর আরও এক পা এগিয়ে তিনি বলেন, আলিয়া মাঝারিমানের অভিনেত্রী, স্বজনপোষণের ফলস্বরূপ বলিউডে করে খাচ্ছেন। এর জবাব আলিয়া না দিলেও মুখ খোলেন তাঁর মা সোনি রাজদান। বলেন, আলিয়ার বাবা মহেশ ভট্টই কঙ্গনাকে বলিউডে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন, আর আজ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করছেন তিনি।

জবাব দিতে এবার এগিয়ে আসেন কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি। তিনি বলেন, কঙ্গনাকে প্রথম ব্রেক মহেশ দেননি, দেন অনুরাগ বসু। বরং কঙ্গনা ভট্টদের একটি ছবি করতে অস্বীকার করায় মহেশ তাঁর দিকে চপ্পল ছুঁড়ে মেরেছিলেন। সোনির নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এই অভারতীয়রা এ দেশে থাকছেন, সব কিছু ব্যবহার করছেন আর গালিগালাজ করছেন দেশের মানুষকে। এর জবাবে আবার টুইট করেন সোনি।

অথচ এত কিছু চাপানউতোরের মধ্যেও মুখ খোলেননি আলিয়া। এ নিয়ে এক সাংবাদিক তাঁকে পরিণত বলে প্রশংসা করায় তিনি বলেন, আমি যদি এমন হই, আমার পরিবার তবে আমার থেকে ১০ গুণ বেশি পরিণত আর শক্তিশালী। আমি এ সবের মধ্যে ঢুকতে চাই না। বরং সুখী ও সদর্থক থাকতে চাই, পরিশ্রম করতে চাই, মানুষ হিসেবে উন্নত হতে চাই প্রতিদিন।

২৬ বছরের অভিনেত্রী বলেছেন, কে কী বলছে, না বলছে তাতে গুরুত্ব দেন না তিনি। যার যা ইচ্ছে বলার অধিকার রয়েছে। তিনি চুপ থাকবেন, তাঁর অবস্থান সেটাই।

এখন কেরিয়ার ছাড়া আর কিছুতে গুরুত্ব দিতে চান না তিনি।