মুম্বই: গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে দক্ষিণী তারকা মহেশ বাবুর (Mahesh Babu) 'বিতর্কিত' একটি মন্তব্য। এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন যে, তাঁকে নিয়ে ছবি করার মতো সামর্থ নেই বলিউডের। অভিনেতার এমন মন্তব্যের পরই কার্যত শুরু হয়ে যায় ট্রোল। তাঁর অনুরাগীরাও তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে প্রতিবাদ করতে থাকেন। যদিও পরবর্তীকালে নিজের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করারও চেষ্টা করেন। আর এবার মহেশ বাবুর সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন মহেশ ভট্ট (Mahesh Bhatt)।


মহেশ বাবুর 'বলিউড বিতর্কিত' বলিউড ছবি কেন্দ্রিক মন্তব্য প্রসঙ্গে মহেশ ভট্ট-


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড ছবি নির্মাতা মহেশ ভট্ট বলেন, 'যদি বলিউডের ওর (মহেশ বাবু) পারিশ্রমিকের সামর্থ না থাকে, তাহলে খুব ভালো। আমি ওকে সবসময় শুভেচ্ছা জানাই। আমি সম্মান করি ও যেখানে ছবি করছে তাকে। ওর নিজের একটা প্রতিভা রয়েছে। গত বেশ কিছু বছর ধরে সেই প্রতিভা দিয়ে ও নিজের একটা যোগ্যতা মান তৈরি করেছে। ধরে নিতে পারি সেই যোগ্যতা মান এক্স। ও যথেষ্ট সফল একজন অভিনেতা। আর নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার অধিকার রয়েছে ওর। যদি বলিউড ওর চাহিদামতো পারিশ্রমিক দিতে না পারে, তাহলে এতে ভুল কোথায়! এতে তো কোনও ভুল নেই। ওকে শুভেচ্ছা জানাই।'


আরও পড়ুন - Shilpa Shetty: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করলেন শিল্পা শেট্টি


মহেশ ভট্ট আরও বলেন, 'কারও পারিশ্রমিককে কেন্দ্র করে কেউ কেন মনক্ষুন্ন হবেন। আমি কত টাকা পারিশ্রমিক নেব, এটা একেবারেই আমার নিজের সিদ্ধান্ত। যদি আমি ১০০ কোটি টাকাও পারিশ্রমিক চাই, তাহলেও সেটা আমার একেবারেই নিজের সিদ্ধান্ত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নেই।'


যা বলেছিলেন মহেশ বাবু-


মহেশ বাবু বলেন, 'আমি সবসময়েই তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছি এবং চেয়েছি গোটা ভারতের মানুষ তাই দেখবেন। এখন যখন সেটা হচ্ছে আমি খুব খুশি। আমার সবসময়ে এই মত যে আমার শক্তি হচ্ছে তেলুগু ছবি এবং আমি যে অনুভূতিটা বুঝি সেটা তেলুগু ছবির। আমার কথায় ঔদ্ধত্য মনে হতে পারে, আমি হিন্দি ছবির প্রচুর অফার পাই। কিন্তু আমার মনে হয় আমাকে নিয়ে ছবি বানানোর সামর্থ্য নেই বলিউডের। আমি আমার সময় নষ্ট করতে চাই না। তেলুগু সিনেমায় যে স্টারডম ও ভালবাসা আমি পাই, আমি কখনও অন্য কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে যাওয়ার কথা ভাবিইনি। আমি সবসময়ে ভেবেছি যে আমি এখানে ছবি করব এবং তা বড় হবে এং আমার বিশ্বাস এখন ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর থেকে বেশি আনন্দের কিছুই নেই।'