সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘পদ্মাবতী’-র শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব শুরু করে করণী সেনা। সেটে ভাঙচুর, দীপিকার নাক কাটার হুমকি, মহিলাদের আত্মহত্যার হুমকি, সিনেমা হলে ভাঙচুর সহ সবরকমভাবে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল রাজপুতদের সংগঠন। নাম বদলে ‘পদ্মাবৎ’ হওয়ার পর ছবিটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়। রাজস্থান, গুজরাত, গোয়ার মতো রাজ্যগুলি ছবিটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশে ছবিটি মুক্তির নির্দেশ দেয়। যদিও এরপরেও কয়েকটি রাজ্যে ছবিটি দেখানোর ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ছবিটি ভাল ব্যবসা করছে।
এই ছবি প্রসঙ্গে দীপিকা বলেছেন, ‘পদ্মাবতে মহিলাদের শক্তি দেখানো হয়েছে। আজ আবার আমরা মর্যাদার সঙ্গে নিজেদের জন্য লড়াই করছি। আমার মনে হচ্ছে, পদ্মাবতী বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক। রানি যখন এত শক্তিশালী, তখন তাঁর অন্যদের কী প্রয়োজন? আমি ব্যক্তিগত জীবনে নিজের সঙ্গে লড়াই করি। আমার অন্য কাউকে দরকার নেই।’
এই ছবিটিতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে যাঁরা অভিযোগ করছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল, একটি স্বপ্নের দৃশ্যে রানি পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজিকে দেখা যাচ্ছিল। দীপিকা অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই ছবিতে আমাদের (দীপিকা ও রণবীর সিংহ) একসঙ্গে একটিও দৃশ্য নেই। ও যখন শ্যুটিং করছিল, আমি তখন সেখানে ছিলাম না। একইভাবে আমার শ্যুটিংয়ের সময়ও ও ছিল না। ছবিতে ও কী করেছে, সেটা আমার জানা ছিল না।’