কলকাতা: বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) আর ধনশ্রী বর্মা (Dhanashree Verma)। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। ২০২০ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ধনশ্রী ও যুজবেন্দ্র। কিন্তু ২০২৫ সালেই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এই বিষয় নিয়ে এতদিন পরে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী বর্মা। জানিয়েছেন, চাহালের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। তবে সবচেয়ে যে বিষয়টা নিয়ে চর্চা রয়েছে, তা হল ধনশ্রী কত টাকা খোরপোশ পেয়েছেন? এই বিষয় নিয়ে এর আগে একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে জানা যাচ্ছে, সেই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাহলে সত্যিটা কী?

আগে জানা গিয়েছিল, যুজবেন্দ্র চাহালের থেকে ৬০ কোটি টাকা খোরপোশ নিয়েছিলেন ধনশ্রী বর্মা। তবে সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে নতুন একটি তথ্য। সেখানে জানা যাচ্ছে, ৬০ কোটি নয়, ধনশ্রী খোরপোশ বাবদ পেয়েছেন ৪.৭৫ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুসারে, এই অর্থের মধ্যে চাহাল ২.৩৭ কোটি টাকা আগেই দিয়ে দিয়েছেন। বাকি টাকার খুব তাড়াতাড়ি ধনশ্রীকে দিয়ে দেওয়া হবে। সদ্যই ধনশ্রীর পরিবারের এক ব্যক্তি, ধনশ্রী ও চাহলের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, 'খোরপোশ সংক্রান্ত যা তথ্য রটেছে, সবই মিথ্যে। ৬০ কোটি টাকা! এত টাকা তো দাবিই করা হয়নি আমাদের কারোর তরফ থেকে। এমনকি আমাদের এত টাকা অফার পর্যন্ত করা হয়নি। কী করে এই গুঞ্জন ছড়াল, জানি না। কিন্তু এটাই বলতে চাই, এটা শুধুমাত্র গুজব, এই তথ্যের কোনও সত্যতা নেই।'

আদালতে মামলার শুনানিতে উপস্থিত হতে গিয়ে একের পর এক বিশেষ পোশাক নির্বাচন করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তাঁর টি শার্টে লেখা, "বি ইয়োর ওন সুগার ড্যাডি"। চাহালের টি-শার্টের এই বার্তাটি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে অনুরাগীদের। অনুরাগীরা মনে করে নিয়েছেন, এই বার্তা বোধহয় ধনশ্রীকেই উদ্দেশ্য করেই দেওয়া। আর এবার, এই ঘটনায় মুখ খুললেন ধনশ্রী। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ধনশ্রী জানালেন, তাঁর প্রাক্তন স্বামী কেন এই ধরণের টি শার্ট পরলেন? তিনি তো তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বললেও পারতেন।

চাহালের এই বিশেষ টি শার্টের কারণেই ধনশ্রীকে অনলাইন ট্রোলিংয়ের স্বীকার হতে হয়েছিল এমনটাই দাবি ধনশ্রীর। নেটিজেনরা তাঁকে চাহালের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য দোষারোপ করেন এবং অনেকে তাঁকে "গোল্ড ডিগার" পর্যন্ত বলেছিলেন। এরপরে ধনশ্রী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন। ধনশ্রী আরও বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে বিচ্ছেদের জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আদালতে তিনি নিজেকে সামলাতে পারেননি। ধনশ্রী বলছেন, 'মাত্র পাঁচ বছরেই আমাদের বিয়ে ভেঙে গেল। কিছুতেই যেন মানতে পারছিলাম না। রায় শোনার পর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। আদালতেই চিৎকার করে উঠি।' সেদিন নাকি যুজবেন্দ্র বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে আদালত ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, ধনশ্রী আফশোস করে বলেছেন, যুজবেন্দ্র ও টি শার্ট না পরলেও, সবাই ধনশ্রীর ওপরেই দোষ চাপাতেন। কারণ, বিচ্ছেদের সময় মেয়েরাই সবসময় দায়ী হয়।