একটি জনপ্রিয় কাগজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সেফ তাঁর প্রথম স্ত্রী অমৃতাকে নিয়ে তাঁর মনে জমে থাকা নানা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, তাঁরা দুজন যখন জীবন শুরু করেন, তখন অমৃতা একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, অথচ সেফ ছিলেন স্ট্রাগলিং ফেজে। সেফের দাবি, তাই প্রতিমুহূর্তেই চলত তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা। প্রকাশ্যে তাঁর চেহারা নিয়েও লাঞ্ছনা করতেন অমৃতা। রুপোলি দুনিয়ার অনেকেরই দাবি ছিল, সেফের কেরিয়ার, তাঁর জীবন সবকিছুকেই আমূল বদলেছেন অমৃতা। যেহেতু কেরিয়ারের শুরুতে তেমন শক্ত ছিল না তাঁর পায়ের তলার জমি, তাই অমৃতার থেকে অপমানজনক কথা সেফকে শুনতে হয়েছে। এমনকি তাঁর মা শর্মিলা এবং সোহা-সাবা সম্পর্কেও বাজে কথা বলেছেন অমৃতা।
২০০৪ সাল নাগাদ অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় সেফের। সেসময় আর্থিক ভাবে তিনি অতটা বিত্তশালী ছিলেন, নিজে মুখেই সেকথা স্বীকার করেছেন শর্মিলা পুত্র। এপ্রসঙ্গে শাহরুখের কথা উল্লেখ করেও তিনি বলেন, তাঁর সেরকম সামর্থ্য না থাকলেও, তিনি অমৃতাকে পাঁচ কোটি টাকা খোরপোশ দিতে রাজি হন।
২০০৫ সালে যে সময় সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয় সেসময় প্রায় আড়াই কোটি টাকা তখনই দিয়ে দিয়েছেন সেফ। এছাড়া প্রতিমাসে ইব্রাহিমের জন্যে এক লক্ষ টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেফ। যতদিন না ছেলে আঠারো বছরে পা দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা সেফের। এছাড়া অভিনেতার দেওয়া বাংলোতেই থাকেন অমৃতা এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। সেনিয়ে ক্ষোভ থাকলেও কখনওই আপত্তি জানাননি তিনি। একসময় নিজের সন্তানদের সঙ্গেও দেখা করতে পারতেন না সেফ। তবে আজ সমস্ত দুঃসময় কাটিয়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন তিনি। সেফ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রোসাকে, যিনি একসময় তাঁর জীবনে এসেছিলেন। আর অবশ্যই ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমৃতাকে, তাঁকে মানুষ চিনতে, জীবনে কঠিন হতে বাধ্য করার জন্যে।