মুম্বই:  সময় এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এখন প্রায় সারা দুনিয়াকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি একজন আন্তর্জাতিক মানের অভিনেত্রী। অভিনয়ের ক্ষমতা, থেকে স্টাইলিং সেন্স, বা লুকস থেকে পোশাক সবকিছু দিয়েই প্রিয়ঙ্কা যে একজন সত্যিকারের ডিভা, সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা সময় ছিল, অভিনেত্রীকে নিজেকে প্রমাণ করতে বহু কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছিল কেরিয়ারের শুরুতে।


সম্প্রতিই ভোগ ম্যাগাজিনের সেপ্টেম্বরের প্রচ্ছদের জন্যে পিসির উষ্ণ এবং সেক্সি ফটোশ্যুট সকলেরই নজর কেড়েছে। সেই ম্যাগাজিনেরই ফটোশ্যুটের সময়ই এক সাক্ষাত্কারে, নিজের কেরিয়ারের শুরু দিকে করা একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন নিয়ে নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পিগি চপস।

ওই সাক্ষাত্কারেই প্রিয়ঙ্কা জানান, গায়ের রঙ চাপা হলে গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের বহু কটূ কথা শুনতে হয়। ভারতে অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে, যারা স্কিন লাইটনিং ক্রিম বা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করে। সেই সংস্থাগুলোর দাবি, তাদের ক্রিম ব্যবহার করলে এক সপ্তাহের মধ্যে চামড়ার রঙ পরিস্কার হয়ে যাবে। তেমনই কোনও বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে, কম বয়সে প্রিয়ঙ্কা নিজেও এমন ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করেছেন।

তারপর অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখার পর তিনি নিজেও এমন বিজ্ঞাপন করেছিলেন। সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল এক তরুণী ভূমিকায়, যাঁর গায়ের রঙ কালো হওয়ায়, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারপর ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে, তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। কিন্তু আজ যখন সেই বিজ্ঞাপনটিই প্রিয়ঙ্কা দেখেন, তখন তাঁর মনে হয় এমন কাজ তিনি কী ভাবে করেছিলেন? এখন তিনি সেভাবেই নিজেকে দেখতে গর্ববোধ করেন, যেমন ভাবে ঈশ্বর তাঁকে বানিয়েছেন। এমনকি তাঁর ত্বকের রঙ নিয়ে তাঁর ভেতরে কোনও লজ্জাবোধও নেই।

যদিও কম বয়সে এমন ভাবে মোটেই ভাবতেন না প্রিয়ঙ্কা। নিজের ত্বকের রঙ নিয়ে বিরক্ত হয়ে, প্রিয়ঙ্কা ভাবতেন কীভাবে সেটার উন্নতি করা যায়। প্রসঙ্গত, ভারতের এখনও বেশিরভাগ চাপা রঙের নন্দিনীরা এমনই ভাবেন, মত অভিনেত্রীর। তবে এখন পিসির ভাবনা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তিনি কখনও এমন বিজ্ঞাপনের প্রচার আর করবেন না বলে জানিয়েছেন।

দেখুন প্রিয়ঙ্কার শ্যুট করা সেই বিজ্ঞাপনের ঝলক