মুম্বই: সামনেই নতুন ছবি মুক্তি। গত মঙ্গলবার উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন 'ব্রহ্মাস্ত্র' (Bramhastra) ছবির নায়ক নায়কা। আলিয়া ভট্ট (Alia Bhatt) ও রণবীর কপূর (Ranbir Kapoor)। কিন্তু মন্দিরে প্রবেশের মুখেই বাধা পান তাঁরা। স্বভাবতই ভিভিআইপি গেট দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন আলিয়া-রণবীর। কিন্তু সেখানে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়ে তাঁদের মন্দিরে ঢোকার বিরুদ্ধে আপত্তি জানান। জমায়েত হলে চলে প্রতিবাদও। পরিস্থিতি বুঝে মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন নায়ক নায়িকা। পুলিশের সাহায্য় নিয়েই ফিরে যান তাঁরা।
কিন্তু আজ মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল সম্পূর্ণ অন্য সুর। আজ, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র (Narottam Mishra) বলেন, 'আলিয়া আর রণবীরকে কেউ মন্দিরে ভিতর যেতে বারণ করেননি। মন্দিরের বাইরে প্রতিবাদ হচ্ছিল কেবল। কিন্তু ওই প্রতিবাদ দেখে আলিয়া ও রণবীর নিজেরাই ভিতরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কেউ তাঁদের আটকায়নি।'
গো-মাংস ভক্ষণ নিয়ে রণবীর কপূরের একটি পুরনো মন্তব্য ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই মন্তব্যের জেরেই এই প্রতিবাদ। আজ পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্য় সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নরোত্তম মিশ্র জানান, পোস্টার বা প্রতিবাদ হচ্ছিল সম্পূর্ণ অন্য বিষয়ে। তাঁর সঙ্গে আলিয়া ও রণবীরের মন্দিরের ভিতরে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক ছিল না। অন্য কিছু লোক নিয়োগ করা ছিল তারকা দম্পতিতে মন্দিরের ভিতর নিয়ে যাওয়ার জন্য়। এমনকি মন্দিরের ভিতরে পুজো দেওয়ারও যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু মন্দিরে না গিয়েই ফিরে আসেন তাঁরা।
নরোত্তম মিশ্র আরও বলেন, 'আঞ্চলিক ম্যানেজার আলিয়া ও রণবীরকে অনুরোধও করেছিলেন মন্দিরের ভিতরে যাওয়ার জন্য কিন্তু তারকা দম্পতি রাজি হননি তাতে।' নরোত্তম মিশ্রের কথায় 'শিল্পীদের এমন মন্তব্য করা উচিত নয় যা সাধারণ মানুষের আবেগে আঘাত করতে পারে।'
এই ঘটনার পরে সেদিন সন্ধ্যায় ওই মন্দিরে যান ছবির পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য মন্দিরে প্রবেশ করেন ও পুজো দেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, নিজের ছবি, সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত 'ডার্লিংস' এবং স্বজনপোষণ বিতর্ক নিয়ে কথা বলেন আলিয়া ভট্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত 'তারকা সন্তান'দের যে ট্রোলের শিকার হতে হয় সেই নিয়ে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। আলিয়ার মতে এই সমস্ত আলোচনা বন্ধ করার একমাত্র উপায় সিনেমায় তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়।
আলিয়া ভট্টের কথায়, 'আমি বিশ্বাস করি এই সমস্ত আলোচনা একমাত্র আমার ছবির মাধ্যমে বন্ধ করতে পারি। অর্থাৎ কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না, খারাপও লাগবে না। অবশ্যই খারাপ লাগত। কিন্তু আপনি যে কাজের জন্য সম্মানিত এবং ভালবাসা পাচ্ছেন সেই কাজের জন্য খারাপ বোধ করা একটি ছোট মূল্য। আমি গঙ্গুবাইয়ের মতো ছবি উপহার দিয়েছি। তাহলে, শেষ হাসি কে হাসছে? অন্তত, আমার পরের ফ্লপ ছবি আসা পর্যন্ত আমিই হাসছি।'