মুম্বই: যদি চিত্রশিল্পী, কবি বা সঙ্গীতলেখক হতেন, অনেক স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারতেন তিনি, অন্যের ওপর ভরসা করে নয়। কিন্তু একজন অভিনেতা হিসেবে অন্যের প্রতিভার ওপর নির্ভর করতে হয় তাঁকে, তা তিনি লেখকই হোন বা পরিচালক বা সহ অভিনেতা। এমন মানুষ যাঁরা তাঁর পারফরম্যান্সকে পর্দায় আরও উজ্জ্বল করে তুলবেন। দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফিরে এই স্বীকারোক্তি করলেন অক্ষয় খান্না।


অক্ষয় জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র জগতে নিরাপত্তাহীনতা অত্যন্ত বেশি। কারণ নিজের প্রতিভা তখনই দেখানো সম্ভব, যখন আপনি কাজ পাবেন। তার মানে বিষয়টা সেই অন্যের ওপর নির্ভরশীলতাতেই এসে দাঁড়াচ্ছে। তাই একজন অভিনেতার জীবন অনন্ত সন্ধান- নিজের ক্ষেত্রে সেরা প্রতিভাদের খুঁজে বার করা, যাতে তাঁদের সাহায্যে আপনার কাজ সাধারণের নজরে পড়ে। দিন, রাত, বছরের পর বছর ধরে চলে এই অনুসন্ধান।

বিনোদ খান্নার ছোট ছেলেকে এবার দেখা যাবে শ্রীদেবীর সঙ্গে মম ছবিতে। এরপর রয়েছে অভয় চোপড়ার ইত্তেফাক।

২০ বছরের কেরিয়ারে অক্ষয় কখনও খ্যাতির পিছনে ছোটেননি। কিন্তু স্বীকার করছেন, কাজ না থাকাকালীন অসংখ্যবার মনে হয়েছে, মানুষ ভুলে গিয়েছে তাঁকে। কারণ  অভিনয় এমন একটা পেশা, যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে জুড়ে আছে মানুষের ভালবাসা কমে যাওয়ার ভয়। দিনের শেষে সব শিল্পী চান, তাঁর কাজ সমাদৃত হোক। এমন হতে পারে, যেভাবে ভালবাসা আসছে, সেই ধরনটা আপনার পছন্দ নয়। কিন্তু এটা অস্বীকারের জায়গা নেই যে ভালবাসা আপনার প্রয়োজন। আর সেই লোকের প্রশংসা, সমাদর, ভালবাসা যখন কমে যেতে থাকে, সেই অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর। এক কথায়, তাঁর বাড়াবাড়ি রকমের পাদপ্রদীপের আলো না-পসন্দ। কিন্তু সত্যি হল এটাই, যে প্রত্যেক শিল্পী সেই লক্ষ্যেই কাজ করেন।

৪২ বছরের অক্ষয় বর্ডার, দিল চাহতা হ্যায়, হামরাজ, তাল, হালচালের মত ছবি করেছেন। ৪ বছর পর অ্যাকশন-কমেডি ছবি ঢিসুম ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।