নয়াদিল্লি: সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) আর্থিক তছরুপ মামলার (money laundering case) সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) দু'বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (Economic Offences Wing of Delhi Police)। তিনি ছাড়াও নোরা ফতেহি, পিঙ্কি ইরানি ও জ্যাকলিনের স্টাইলিস্ট লীপাক্ষী ইল্লাওয়াড়িকে (stylist Leepakshi Ellawadi) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।


জ্যাকলিনের স্টাইলিস্টকে জেরায় কী তথ্য মিলল?


সাম্প্রতিক পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের স্টাইলিস্ট লীপাক্ষী ইল্লাওয়াড়ি স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি জ্যাকলিন ও সুকেশের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতেন। এমনকী লীপাক্ষী নাকি এও জানিয়েছেন যে সুকেশ তাঁকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছিলেন জ্যাকলিনের জন্য পোশাক ও উপহার কেনার জন্য। তাঁর দাবি, জ্যাকলিনের মন জয় করতে তাঁর পোশাকের ব্র্যান্ডের খোঁজ করতেই লীপাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। 


এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'গত বছর তিনি ইল্লাওয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন জ্যাকলিন কী ধরনের ও কোন ব্র্যান্ডের পোশাক পছন্দ করেন সেই বিষয়ে জানতে। তিনি সাজেশন নেন, এমনকী ৩ কোটি টাকা তাঁকে দেন যাতে অভিনেত্রীর পছন্দের পোশাক কেনা যায়। চন্দ্রশেখরের থেকে পাওয়া সম্পূর্ণ ওই অর্থ ইল্লাওয়াড়ি খরচ করেন ফার্নান্ডেজের জন্য উপহার কিনতে।'


পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, লীপাক্ষী জেরায় বলেছেন, সুকেশ চন্দ্রশেখরের ব্যাপারে যেই তছরুপের খবর জানা যায় তখনই জ্যাকলিন তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক করে ছিন্ন করে দেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় লীপাক্ষীকে।


আরও পড়ুন: 'Double XL': বড়পর্দায় জোড়া ধামাকা, সোনাক্ষী-হুমার 'ডবল এক্সএল' ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা


লীপাক্ষী ইল্লাওয়াড়ি একজন পোশাক ডিজাইনার ও কনসালট্যান্ট যিনি একাধিক তারকার সঙ্গে কাজ করেছন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় বছর দশেক ধরে।


দিন তিনেক আগেই আর্থিক তছরুপ মামলায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে টানা ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইং (EOW)। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ২০০ কোট টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের। চলতি মাসের ২০ তারিখ সেই মামলাতেই জ্যাকলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার আগে আগে ১৪ সেপ্টেম্বরও তলব করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। বার বার হাজিরা এড়ালেও এদিন হাজিরা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেত্রী।