কলকাতা: সদ্যই জানা গিয়েছিল, বিপাকে পড়েছেন প্রখ্যাত কেশসজ্জা শিল্পী জাভেদ হাবিব (Jawed Habib)। তাঁর বিরুদ্ধে, ক্রিপ্টো কারেন্সি জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। কেশসজ্জা শিল্পী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল লুক আউট নোটিসও। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে FIR-ও। তবে এবার, জাভেদ হাবিব এবং তাঁর ছেলে আনোশ হাবিব তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন দাখিল করেছেন। মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

Continues below advertisement

জাভেদ হাবিব এবং তাঁর ছেলে আনোশ হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ৩২টি মামলা রুজু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা লোকেদের ২ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভের আশা দেখিয়ে বিনিয়োগ করিয়েছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা এফএলসি কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগের উপর বিনিয়োগকারীদের ৫০ থেকে ৭০% লাভের লোভ দেখিয়ে ঠকিয়েছে। জাভেদ হাবিব, আনোশ হাবিবের পাশাপাশি সাইফুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জাভেদ হাবিব এবং তাঁর পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে সম্ভালের সারায়াতীন এলাকায় রয়্যাল প্যালেস ভেঙ্কট হলে  হাবিব এবং তার ছেলে FLC (ফোলিকল গ্লোবাল কোম্পানি) এর ব্যানারে একটি ইভেন্টের আয়োজন করেন। সেখানে তাঁরা বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রায় ১৫০ জনকে বিটকয়েন এবং বিন্যান্স কয়েনে বিনিয়োগের উপর ৫০-৭৫% রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।  অভিযোগ এরপর বিনিয়োগকারীরা ৫-৭ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করেছেন। তারপর আর রিটার্ন পাননি। ১০০ জনেরও বেশি লোক জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ।

Continues below advertisement

এক বছরের মধ্যে কোনও রিটার্ন না পাওয়ায়, বিনিয়োগকারীরা পুলিশের কাছে যান। হাবিব, তার ছেলে এবং অন্যরা কোম্পানিটি বন্ধ করে দিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। একটা - আধটা নয় বহু মানুষই অভিযোগ দায়ের করেছেন।  জানা গিয়েছে, হালফিলে জাভেদ হাবিব, তার ছেলে , হাবিবের সম্ভাল অপারেশনের প্রাক্তন প্রধান সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে আরও ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ৫০৬ ধারায় মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে । পুলিশের সন্দেহ , হাবিবের স্ত্রীও এই লোক-ঠকানো কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক জালিয়াতির পরিমাণ বিরাট। প্রায় ৭ কোটি টাকা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ধারার অধীনে দিল্লি এবং মুম্বইতে হাবিবের সম্পত্তি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট দাখিল হলে আরও কড়া ধারায় মামলা হবে ।