কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) মধ্যেই ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্র জয়নগর। বিচারের দাবিতে মহিষমারিতে ফের পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ১। ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় ধর্ষণের ধারা বা পকসো আইনে মামলা নয়, জানালেন পুলিশ আধিকারিক।


আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই ফের রাজ্যে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ অভিনেতা তথা সাংসদ দেব (Dev)। 'এনকাউন্টার' দাওয়াই দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা।


শনিবার দেব বলেছেন, 'এ ধরনের নিন্দনীয়, জঘন্য ঘটনায় শ্যুট অ্যাট সাইট করে দাও। এ ধরনের ঘটনা যেই করুক, ধরা পড়লে বাঁচিয়ে রেখে সরকারি টাকা খরচ করে লাভ নেই।'


যদিও দেব জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে এ কথা বলা হয়তো ঠিক নয়। বলেছেন, 'আমি জানি, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমার একথা বলা উচিত নয়। কিন্তু, আইন কঠোর হলেও আমরা আমাদের মা-বোনেদের বাঁচাতে পারছি না। এটা সত্যিই আমাদের ভাবার বিষয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। মানুষের মধ্যে ভয় না থাকলে এধরনের ঘটনা আটকানো যাবে না। এমন কিছু করতে হবে যাতে কুকর্ম তো দূরের কথা, ভাবতেও যেন ভয় পায়।' ধর্ষণ-খুন রুখতে এবার এনকাউন্টারের দাওয়াই তৃণমূল সাংসদ দেবের।


ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। দফায় দফায় বিক্ষোভ, পুলিশকে তাড়া করে ফাঁড়িতে আগুন, বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। মহিষমারি ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখান থেকে ফেরানোর অভিযোগ উঠেছে। রাতে মহিষমারি ফাঁড়ি থেকে ফিরিয়ে কুলতলি থানায় যেতে বলার অভিযোগ করেছে নিহত ছাত্রীর পরিবার।


নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বারুইপুরের এসডিপিএকে লাঠি হাতে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের তাড়ায় এলাকায় ঢুকতেই পারলেন না তৃণমূল বিধায়ক। হাসপাতালে গিয়েও ফিরতে হল তৃণমূল সাংসদকে, গো ব্যাক স্লোগান।


রাতে বাড়ির কাছে ধানক্ষেত থেকে বালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। তবে খুন-অপহরণের ধারা দিলেও ধর্ষণের ধারা দিল না পুলিশ। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় ধর্ষণের ধারা বা পকসো আইনে মামলা নয়, জানিয়েছেন পুলিশের এসপি।

এদিকে জয়নগর-কাণ্ডের আঁচ পড়েছে কলকাতাতেও। কাঁটাপুকুর মর্গে ধুন্ধুমার। ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে বিজেপির বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ৯ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে অগ্নিগর্ভ জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। দক্ষিণ বারাসাত থেকে মহিষমারি যাওয়ার রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে ধাওয়া করে ঝাঁটাপেটা করেন মহিলারা। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ফাঁড়ির বাইরে মোটরবাইক, সাইকেলে আগুন, প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। ফিরে যেতে হয় র‍্যাফকে।


বারুইপুরের SDPO অতীশ বিশ্বাসকে লাঠি হাতে তাড়া করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পুলিশকেও ইট ছুড়তে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে যান বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত।


আরও পড়ুন: ব্যর্থ অভিমন্যুর লড়াই, ২৭ বছর পর ইরানি কাপ জিতল রাহানের মুম্বই