কলকাতা: খুব পুরনো নয়, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল অল্পদিন আগেই। ছবির প্রিমিয়ারে। কিন্তু কথা বলা হয়নি। তরুণ মজুমদারের কথা হয়েছিল তাঁর ছবির পরিচালকের সঙ্গে। আজ সেই কিংবদন্তির প্রয়াণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই স্মৃতি ভাগ করে নিলেন 'অপরাজিত' জিতু কমল (Jeetu Kamal)
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন জিতু। তাঁর একটি ছবি তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar), অন্যটি তরুণ মজুমদারের সঙ্গে কথোপকথনে ব্যস্ত পরিচালক অনীক দত্ত (Anik Dutta)। জিতু লিখছেন, 'বহুদিন আগেকার ঘটনা নয়, এই সামান্য কয়েকদিন আগের ঘটনা। 'অপরাজিত' দেখতে এসেছিলেন সাউথ সিটির আইনক্সে। সঙ্গে ছিলেন ছবির পরিচালক অনীক দত্ত। ছবি দেখার পর বাক্যব্যয় করে যেটুকু কথা তরুণবাবু বলেছিলেন অনীকদা-কে, তা লিখে অথবা মুখে বলে প্রকাশ করা আমার সাধ্য বর্হিভূত। এর কিছুদিন পরেই সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষের ফোন আসে, তরুণ বাবুর সিনেমা দেখতে যাওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করেই। বস্তুত শতরূপও ওই দিন আইনক্সে এ উপস্থিত ছিল। হাজারও প্রশংসার মধ্যে শতরূপের একটাই কথা আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল "পারলে তুমি একবার তরুণ বাবুর সাথে দেখা করে আশীর্বাদ নিও।" অভাগার সেই সামর্থ্যটুকুও হয়ে উঠল না। তার আগেই র্যাপ আপ বলে ইউনিট তুলে নিলেন।'
অন্যদিকে, এদিন পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে টুইট করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন এবং তপন সিনহা- নক্ষত্রমণ্ডলীর শেষ নক্ষত্রপতন। যিনি কিনা যেমন বক্সঅফিস জয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র উৎসব এবং পুরষ্কারের বিরল অ্যালকেম্যিক্যাল কোড ক্র্যাক করেছিলেন, আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। এখানেই শেষ নয় নিমন্ত্রন , শ্রীমান পৃথ্বিরাজ ছবির সৃষ্ঠাকে লেজেন্ড বলে সম্মান জানিয়েছেন তিনি।
১৯৩১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনাই পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কটিশচার্চ কলেজের এই প্রাক্তনী। শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে যাত্রিক গোষ্ঠীতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া-পাওয়া’। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি।