কলকাতা: চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। জয় গোস্বামী এই ছবিটা ৩ বার দেখে বলেছিলেন, এই ছবি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো উচিত। ব্রাত্য বসু আর জয়া আহসান, অর্থাৎ, ছবির নায়ক নায়িকারাও বেশ আশাবাদী এই ছবি নিয়ে। এবার অপেক্ষা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া 'ঝরা পালক'-কে। জীবনানন্দ দাশের জীবন আধারিত এই ছবি মুক্তি পাবে সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় পরিচালনা এই ছবি মুক্তি পাবে ১৭ জুন।
প্রসঙ্গত, ওই দিনই মুক্তি পাচ্ছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত, সৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত নতুন ছবি 'আয় খুকু আয়'। শুধু তাই নয়, এই ছবির আগে পরে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক বাংলা ছবি। প্রতিযোগিতা কঠিন হচ্ছে? ছবির পরিচালক সায়ন্তন বলছেন, 'অন্য যে সমস্ত বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাদের সঙ্গে 'ঝরা পালক' প্রতিযোগীতাতেই নামছে না। আমরা আশা করছি না মানুষ দলে দলে এসে ভিড় করে এই ছবিটা দেখবে। কিন্তু 'ঝরা পালক' একেবারেই অন্য ধারার ছবি। তবে মানুষ ছবি দেখতে আসলে বুঝব, এখনও জীবনানন্দকে ভুলে যাননি মানুষ।'
আরও পড়ুন: Raj Kundra: ফের শিরোনামে রাজ কুন্দ্রা, শিল্পা শেট্টির স্বামীর নামে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন ব্রাত্য বসু। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। পরিচালক বলছেন, 'এই ছবিটা নিয়ে সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী ব্রাত্যদা আর জয়া। ব্রাত্যদা এই ছবিতে যেমন অভিনয় করেছেন, তেমন ভবিষ্যতে আর করতে পারবেন কি না জানি না। জয়াও এই ছবিটা নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। জয় গোস্বামী এই ছবিটা ৩ বার দেখে বলেছিলেন, এই ছবি অবশ্যই দর্শকদের কাছে পৌঁছনো উচিত। অনেক গুণী মানুষদের প্রশংসা নিয়ে, আশা নিয়েই ছবি মুক্তি পাচ্ছে।
প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা কতটা স্বাস্থ্যকর? পরিচালক বলছেন, 'আমার মনে হয় এটা ভীষণ ভালো। করোনার পর আমরা ভেবেছিলাম বাংলা ছবি হয়ত ঘুরে দাঁড়াতেই পারবে না। কিন্তু আবার যে 'টনিক', 'কিশমিশ', 'রাবণ', 'অপরাজিত' দেখতে যে দর্শক হলমুখী হচ্ছে, সেটা অবশ্যই খুব ভালো একটা বিষয়।'